বাঙালিদের কানে এখনও তাঁর গাওয়া জিঙ্গল বাজে। বিজ্ঞাপনের জিঙ্গলে প্রবাদপ্রতিম হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই প্রতীক চৌধুরী চলে গেলেন অকালেই। মঙ্গলবার অফিসেই তিনি অসুস্থতা অনুভব করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় আধঘণ্টার মত তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা চালান চিকিৎসকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
বিজ্ঞাপনের গান গেয়ে লাইম লাইটে আসা প্রতীক চৌধুরী পরে বহু গান গেয়েছেন। বাংলা সিনেমাতেও তিনি চুটিয়ে কাজ করেছেন। এখনও করছিলেন। আসতে চলা একটি বাংলা সিনেমায় গানের কাজ করছিলেন তিনি। তারমধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে চলে গেলেন প্রতীক।
প্রতীক চৌধুরীর মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না অনেক শিল্পীই। এত কম বয়সে একজন শিল্পীর এমন আকস্মিক প্রয়াণ তাঁদের সকলকে অবাক করে দিয়েছে। অনেকেই এদিন খবর পেয়ে হাজির হন তাঁর বাড়িতে। প্রতীক চৌধুরীর জীবনাবসানে বাংলা সঙ্গীত জগত সহ বাংলা বিজ্ঞাপন জগতের এক অমর কণ্ঠ চিরকালের মত নিদ্রায় চলে গেল। বাংলা সঙ্গীত জগতের জন্য অবশ্যই এক বড় ক্ষতি।