প্রেসিডেন্সির শতাব্দী প্রাচীন হিন্দু হস্টেলে থাকার জায়গা চেয়ে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ল। ছাত্রছাত্রীরা এদিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হন। হিন্দু হস্টেলে অবিলম্বে থাকার জায়গা চেয়ে সোচ্চার হন তাঁরা। চলতে থাকে স্লোগান, জমায়েত। এরমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।
তিনি জানান, হিন্দু হস্টেল যে সময়ের মধ্যে সারানোর কথা সেই সময়ের মধ্যে পিডব্লিউডি সারিয়ে উঠতে পারেনি। এখনও ৪-৫ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে তারা। এই অবস্থায় তিনি আশা করছেন তার আগেই হয়তো হোস্টেলটি ছাত্রদের থাকার জন্য হাতে পাওয়া যাবে। তবে ছাত্রদের সুরক্ষার দিকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেখানে কোনও সমঝোতা না করে হস্টেল সারানো হয়ে গেলেই তিনি ছাত্রদের সেখানে থাকার অনুমতি দিয়ে দেবেন।
এদিকে বর্তমানে ছাত্রদের হিন্দু হস্টেল সারানো পর্যন্ত রাজারহাটে একটি সরকারি হস্টেলে থাকার বন্দোবস্ত হয়েছে। কিন্তু সেখানে পানীয় জল থেকে সকালের খাবার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্ররা। এক্ষেত্রে উপাচার্য বলেন, পানীয় জলের জন্য সেখানে কুলার বসানো হয়েছে। রাতের খাবারও ছাত্ররা সেখানেই পাচ্ছেন। তবে সকালের খাবারটা প্রেসিডেন্সিতে এসে খেতে হচ্ছে। ৩০ টাকায় তাঁরা দুপুরের খাবার পাচ্ছেন। শুধু নিজেদের ঘরে বসে খাওয়া হচ্ছেনা এই যা। এটুকু মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেন উপাচার্য।
এদিকে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের অবস্থানে অনড়। যতদিন না হিন্দু হস্টেলে তাঁদের জায়গা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি চত্বরকেই তাঁরা হস্টেল হিসাবে নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ছাত্ররা।