ভারতের জাতীয় পরিচিতির সঙ্গে বাংলা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাতীয় গান রচনা করেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। দেশকে জয় হিন্দ শব্দটি নেতাজির উপহার। দেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশে বাংলার অবদান অনস্বীকার্য। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এমনই জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে পা দিলেন তিনি। তাই রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলায় এসে রাজ্যের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তিনি সকলের অভিভাবক। রাষ্ট্রপতি সকল রাজনীতির উর্ধ্বে। এদিন নিজের আঁকা একটি ছবি রাষ্ট্রপতিকে উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি দেখে আপ্লুত রাষ্ট্রপতিও। তিনি জানিয়ে দেন এই ছবি রাষ্ট্রপতি ভবনে জায়গা পাবে।
রাষ্ট্রপতি এদিন জাতীয় ক্ষেত্রে বাংলার অবদানের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বাংলার মহিলাদের অবদানের কথা আলাদা করে তুলে ধরেন। তাঁর মুখে এদিন একে একে উঠে এসেছে মাতঙ্গিনী হাজরা থেকে সরোজিনী নাইডুর কথা। বাদ যায়নি জগদীশচন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা থেকে সত্যজিৎ রায় বা উত্তম কুমারের নাম। রাষ্ট্রপতি এদিন সহাস্য মুখেই বলেন, মিষ্টি, আড্ডা আর ফুটবলের শহর কলকাতা। এদিন রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি আগামী বুধবার সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারপর একে একে নেতাজি ভবন, বেলুড় মঠ, বোস ইন্সটিটিউটেও যাবেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি এদিন বাংলার শিল্প, ইতিহাস ও রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।