১২ বছরের কম বয়সী শিশু ও নাবালিকাদের ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজার আইন রূপায়ণে শনিবারই সবুজ সংকেত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বাকি ছিল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর। এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করার সঙ্গে সঙ্গে এই আইন বাস্তব রূপ পেল। অর্থাৎ আগামী দিনে দেশের যে কোনও আদালত ১২ বছরের কম বয়সীদের ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের চরম সাজা দিতে পারবে।
অর্ডিন্যান্সে চরম সাজার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সংশোধনী করা হয়েছে। দেশে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাজার মাত্রা আরও কড়া করা হয়েছে সংশোধনীতে। ভবিষ্যতে ১২ বছরের কম বয়সীদের ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য দেশ জুড়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করা হবে। পুলিশ স্টেশন ও হাসপাতালগুলিকে বিশেষ ফরেনসিক কিট প্রদান করা হবে এই ধরণের ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে।
এছাড়া অর্ডিন্যান্সে যেসব সংশোধনী জায়গা পেয়েছে তারমধ্যে রয়েছে ১২ বছরের কম বয়সীদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যুনতম সাজা হবে ২০ বছরের কারাদণ্ড। ১৬ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে ধর্ষণের ন্যুনতম শাস্তির মেয়াদ ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যন্ত শাস্তি প্রদান করা যাবে। আর যদি ১৬ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তবে ধর্ষকদের যাবজ্জীবন অর্থাৎ যতদিন বাঁচবে ততদিন গারদের পিছনেই কাটাতে হবে। দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনায় লাগাম দিতেই সাজার মাত্রা আরও কঠোর করার রাস্তায় হাঁটল কেন্দ্র। যা অবশ্যই দেশ জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।