ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কল আর ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য নন। একথা রাজপরিবারের তরফেই ঘোষণা করা হল। আগামী দিনে তাঁরা সাধারণ মানুষ। নীল রক্তের শৌর্যের এখানেই সমাপ্তি। তবে এটা রাজপরিবারের কোনও গোঁসার ফল নয়। প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী নিজেরাই রাজপরিবার থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তা নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার একসঙ্গে বৈঠকেও বসে। তারপরই রানি এলিজাবেথ জানিয়ে দেন যে প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী আর ব্রিটিশ রাজপরিবারে নেই।
প্রিন্স হ্যারি বিয়ের পর থেকে ফ্রগমোর কটেজেই কাটাতেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই কটেজ সাজানোর জন্য এতদিনে খরচ হয়েছে ২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। এ টাকা ব্রিটিশদের করের টাকা থেকেই মেটানো হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যপদ চলে যাওয়ায় প্রিন্স হ্যারিকে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে। তাছাড়া এখন থেকে ফ্রগমোর কটেজে থাকতে গেলে তার ভাড়া গুনতে হবে স্বামী-স্ত্রীকে। যদিও শোনা যাচ্ছে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান আগামী দিনে কানাডায় থাকতে ইচ্ছুক।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় প্রিন্স হ্যারি ও মেগান এতদিন তাঁদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা বন্দোবস্ত পেতেন। সেই সুরক্ষা বন্দোবস্তও আর পাবেন না তাঁরা। আগামী দিনে তাঁরা রয়্যাল হাইনেস-এর খেতাবও পাবেন না। তবে প্রিন্স হ্যারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ নন রানি। বরং তিনি হ্যারির এই সিদ্ধান্তের পর তাঁকে রাজপরিবারের বাইরে এক অন্য জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামী দিনে হ্যারিকেও রাজপরিবারের কোনও রীতি বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা