মুক্তির আগেই চরমে বিতর্ক, রক্তচক্ষুর মুখে বন্ধ হতে পারে অক্ষয় কুমারের পৃথ্বীরাজ
মুক্তি জানুয়ারিতে। তার আগেই প্রবল বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল অক্ষয় কুমার অভিনীত সিনেমা পৃথ্বীরাজ। ইতিমধ্যেই তা হলে দেখানো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এসেছে।
রাজস্থানের কোনও ঐতিহাসিক চরিত্রকে নিয়ে সিনেমা তৈরি হলেও তা বিতর্কে জড়াচ্ছে। এর আগে রাজপুত রানি পদ্মাবতীর চরিত্রকে সামনে রেখে সিনেমা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এবার সেই রাস্তায় হাঁটা শুরু করল পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নিয়ে তৈরি সিনেমা। যা আগামী ২১ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে।
কিন্তু মুক্তির আগেই তা প্রবল বিতর্কে ইতিমধ্যেই জড়িয়ে গিয়েছে। রাজস্থানের গুজ্জর জাতিগোষ্ঠীর মানুষজন এই সিনেমায় পৃথ্বীরাজ চৌহানকে রাজপুত রাজা হিসাবে সামনে আনার প্রবল বিরোধিতা করেছেন।
তাঁদের দাবি, পৃথ্বীরাজ মোটেও রাজপুত ছিলেননা। তিনি ছিলেন গুজ্জর। পৃথ্বীরাজের বাবা ছিলেন গুজ্জর। পিতার সূত্রে ছেলেও গুজ্জর হওয়াই স্বাভাবিক।
তাছাড়া যাঁর লেখা অবলম্বনে এই সিনেমা তৈরি হয়েছে সেই চাঁদ বরদাই ষোড়শ দশকে এই লেখা লেখেন। তিনি লেখেন পিঙ্গল ভাষায়। কিন্তু পৃথ্বীরাজের রাজত্বকালে ব্যবহার হত সংস্কৃত, পিঙ্গল ভাষা নয়।
গুজ্জররা সাফ জানিয়েছেন সিনেমায় পৃথ্বীরাজকে রাজপুত বলা হচ্ছে। এই রাজপুত শব্দটা সিনেমা থেকে বাদ না দিলে তাঁরা এই সিনেমাকে হলে দেখাতে দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গুজ্জর নেতা হিম্মত সিং।
অন্যদিকে গুজ্জরদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন শ্রী রাজপুত করণী সেনার মুখপাত্র বিজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তাঁর পাল্টা দাবি, গুজ্জররা গুজরাট থেকে এসেছিলেন। এঁরাই রাজস্থানে এসে গুজ্জর হয়ে ওঠেন।
গুজরাট থেকে আসায় এঁদের নাম গুজ্জর হয়েছিল বলে দাবি করেন শেখাওয়াত। তাই পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নিয়ে তাঁদের দাবি ভিত্তিহীন।
পৃথ্বীরাজ চৌহান রাজপুতই ছিলেন বলে দাবি করেছেন শেখাওয়াত। এখন রাজপুত ও গুজ্জরদের এই টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে অক্ষয় কুমারের সিনেমা পৃথ্বীরাজ অবশেষে কতটা ধাক্কা খায় সেদিকে তাকিয়ে সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা