কয়েক প্রহরের অপেক্ষা। তারপরেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে এক ভয়ানক সংক্রমণ। সেই সংক্রমণের নাম ‘প্রেম দিবস’। তবে সেই সংক্রমণের আগে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ল আরেক ‘ভাইরাস’। সেই ‘ভাইরাস’ মোহময়ী অষ্টাদশী এক দক্ষিণী তন্বী। তিনি পেশায় অভিনেত্রী এবং মোহিনীঅট্যম নৃত্যশৈলীর দক্ষ শিল্পী। সেইসব পরিচয়ের উর্ধ্বে এখন যদিও তাঁর একটাই পরিচয়। আপামর ভারতীয় পুরুষের হৃদয়ে তুফান তুলে দেওয়া স্বপ্নের ‘ভ্যালেন্টাইন’ তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার, ইন্সটাগ্রাম। সোশ্যাল মিডিয়ার অলিগলি এখন শুধু তাঁর মুখের ছবিতে ছয়লাপ। মুখে স্মিত নিষ্পাপ হৃদয় হরণকারী হাসি। টানা টানা চোখে দুষ্টু মিষ্টি প্রেমমাখা ইশারার হাতছানি। ভ্রু যুগলের নাচন আর শুধু একটা চোখের ভ্রুকুটি। এতেই কাত তাঁর সহপাঠী ছাত্র। তাঁর সেই ‘কিলার লুক’-এ ‘ফিদা’ স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগুনতি প্রেমিক পুরুষের হৃদয়ও।
কে এই স্বপ্নসুন্দরী? যিনি রাতারাতি ঘুম কেড়ে নিয়েছেন নেটিজেনদের! জানতে উঠে পড়ে লেগে যান লোকজন। গুগল ঘটক দেয় তাঁর হদিশ। মনের মতো ‘ক্রাশ’ অষ্টাদশীর ঘর দক্ষিণ ভারতের কেরালায়। পুরো নাম প্রিয়া প্রকাশ বারিয়ার। নাচের সাথে সাথে ‘পাত্রী’ গানটাও ভালোই গান। মডেলিং থেকে অভিনয় জগতে পা। আসন্ন মালয়ালম ছবি ‘ওরু এদার লাভ’ দিয়ে শুরু হতে চলেছে অভিনয়ের কেরিয়ার। তাঁর সেই ছবির ‘মাণিক্য মালারায়া’ গানের দৃশ্যের একটি মুহুর্ত লিক হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গানের দৃশ্যে সহপাঠীর দিকে তাকিয়ে প্রিয়ার ভুরু নাচানো আর চোখের ইশারার দৃশ্যে নিমেষে ‘বোল্ড’ হয়ে যান ‘আশিক’-রা। কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিওয় প্রচারের সব আলো কেড়ে নেন উঠতি ‘স্টার’ প্রিয়া।
ভ্যালেন্টাইনস ডে-র আগে অষ্টাদশী স্কুল পড়ুয়া প্রিয়াকে নিয়ে যুবসমাজের উন্মাদনায় কার্যত দিশাহারা সাইবার জগত। ‘কই অমন করে একটা চোখ মেরে দেখাও তো?’ হবু বা বর্তমান প্রেমিকার দিকে এমন কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে রাজ্যের প্রেমিকের দল। আর উন্মাদনার সেই জনস্রোতের জোয়ারে রাতারাতি ‘স্টার’ হয়ে ওঠা প্রিয়ার কি প্রতিক্রিয়া? আচমকা সোশ্যাল জগতে বিপুল সংখ্যক ‘ফ্যান ফলোয়িং’ বেড়ে যাওয়ায় উৎসাহ উত্তেজনায় টগবগ করছেন অষ্টাদশীও। একটা ২ মিনিটের ভিডিও তাঁকে রাতারাতি গোটা দেশ তো বটেই, এমন বিশ্বের কোণায় কোণায় পরিচিত মুখ করে দিয়েছে। একেই বোধহয় বলে রাতারাতি ভাগ্য বদলানো!