রাতে পিস হাভেনে রাখার পর মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির দেহ আনা হয় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় বিধান ভবনে। এখানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী থেকে শুরু করে সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ কংগ্রেসের তাবড় নেতা। এছাড়াও এখানে প্রয়াত নেতার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন বাম নেতা বিমান বসু থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র। আসেন তৃণমূল, বিজেপি নেতারাও। এখানে ঘণ্টাখানেক কফিনবন্দি দেহ শায়িত রাখার পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টে অন্য বহু আইনজীবীর সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে শেষশ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। হাইকোর্ট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রানি ভবানী রোডে। কলকাতায় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির বাসভবনে। সেখানেও উপচে পড়ে ভিড়। দলমত নির্বিশেষে প্রতিবেশি এই নেতাকে শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পাড়ার লোকজন উপচে পড়েন। এখানেই প্রয়াত নেতাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মালা রায়, দেবাশিষ কুমার সহ বিভিন্ন নেতা নেত্রী।
ফুটবল পাগল প্রয়াত নেতার মরদেহে শেষশ্রদ্ধা জানায় কলকাতার বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবও। রানি ভবানী রোড থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দমদম বিমানবন্দরে। সেখান থেকে দুপুর নাগাদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির দেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়ার কথা রায়গঞ্জে। এই হেলিকপ্টারে দেহের সঙ্গে যাবেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্য একটি হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু হেলিকপ্টার ওড়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেসব নিয়মের গেরো কাটিয়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির দেহ নিয়ে উড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে এদিন নির্দিষ্ট সময়ে রায়গঞ্জের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়নি।