প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তিনি পা দেননি। এর আগে আমেঠি বা রায়বরেলিতে তাঁর মা সনিয়া গান্ধী ও দাদা রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে জনসভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হাত নেড়েছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেননা তিনি। অবশেষে সেই অবস্থান ভাঙে। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তথা রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেন তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার রাজনীতির ময়দানে পা রাখার কথা। প্রিয়াঙ্কাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া থেকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দেন রাহুল। সেই দায়িত্ব গ্রহণের পর এদিন প্রথম একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে ময়দানে নামলেন প্রিয়াঙ্কা।
সোমবার লখনউতে একটি রড শো করেন প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন রাহুল গান্ধী ও উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমে দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত যুব নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। একটি বাসের মাথায় দাঁড়িয়ে অগণিত মানুষের ঢেউতে ভেসে এগোতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। ১৫ কিলোমিটার রাস্তা কম নয়। সেই পথ এদিন সারা দুপুর, বিকেল ধরে পূর্ণ করেন প্রিয়াঙ্কা, রাহুলরা।
ভিড়ের দিকে চেয়ে হাত নাড়ার ফাঁকে ফাঁকে কখনও দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন রাহুল। কখনও রাফাল বিমানের প্রতিকৃতি নিয়ে তা তুলে ধরেন ওপরে। রাস্তা তখন ভেসে যাচ্ছে কংগ্রেস কর্মী, সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের ভিড়ে আর দলীয় পতাকায়। এই বিপুল ভিড় কিন্তু বিজেপির জন্য মোটেও স্বস্তির ছবি আঁকল না।
সন্ধের প্রায় মুখে এসে এদিন রোড শো শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী তাঁর ২ নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। তাঁদের পরামর্শ দেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার। সেইসঙ্গে নির্দেশ দেন তাঁরা যেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের নেতাদের সামনে আনার কাজটা করেন। রাহুল বলেন, যাঁরা গ্রামে, শহরে, রাস্তায় ঘাটে কংগ্রেসের জন্য কাজ করছেন তাঁদের সামনে আনতে হবে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)