কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করল পুলিশ। প্রিয়াঙ্কাকে এদিন আটক করার পর গাড়িতে বসেই তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার উভা গ্রামে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেখানে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে মাত্র ৪ জনকে নিয়ে তিনি গ্রামে ঢুকে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে যেতে দেয়নি। মির্জাপুরের নারায়ণপুর এলাকায় আটকে দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কাকে। প্রতিবাদে রাস্তার ওপর বসে প্রতিবাদে মুখ হন তিনি। তাঁর সঙ্গে অন্য কংগ্রেস কর্মীরাও রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি প্রিয়াঙ্কাকে আটক করা হয়নি।
সোনভদ্র জেলার উভা গ্রামে গুজ্জর ও গোন্ড জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রবল সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ১০ জনের। যার মধ্যে ৩ জন মহিলা। ২৪ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনগোষ্ঠীর মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহতদের বারাণসীতে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে আহতদের দেখতে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারে হাজির হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে রওনা দেন সোনভদ্র জেলার উভা গ্রামের দিকে। সেখানে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু মাঝপথে নারায়ণপুরে তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। তাঁদের এগোতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই রাস্তায় বসে প্রতিবাদে মুখর হয় প্রিয়াঙ্কা। কেন তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না তার জবাব চান। তিনি বলেন, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। তাতেও বাধ সাধল পুলিশ। কংগ্রেস কর্মীরা এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে রাস্তায় বসে পড়েন। এলাকায় দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা