সিঁথির মোড়ের সার্কাস ময়দান সকলের চেনা। বিশাল এলাকা জুড়ে সবুজ মাঠ। এখানেই শীতে বসে সার্কাস। চৈত্রে মেলা। দুর্গাপুজোর আগেও শারদীয়া মেলায় মানুষের ভিড় জমে। মাঠের সিঁথির মোড়ের দিকটা মেলার জন্য নির্দিষ্ট। আর ঘোষপাড়ার দিকটায় বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব সারা বছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। চলে একটি ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পও। বন্ধুদলের উদ্যোগে দুর্গাপুজো এবার ৫৬ তম বর্ষে পা রাখল। বিশাল মাঠ অবশ্যই এই ক্লাবের বড় পাওনা। ছড়িয়ে বিশাল প্যান্ডেল, প্যান্ডেলের সামনের প্রাঙ্গণজুড়ে সাজসজ্জা সবই সম্ভব হয় অতবড় মাঠের জন্য। ফলে বন্ধুদলের পুজোর ভাবনায় প্রতি বছরই বিশালত্বের ছোঁয়া থাকে। কখনও মহীশূর প্যালেস তো কখনও নামকরা মন্দিরের আদলের মণ্ডপ সাজিয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয় এই পুজো। গত বছর এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অনেক সম্মানই নিজগুণে আদায় করে নিয়েছে বন্ধুদলের দুর্গাপুজো।
এবার বন্ধুদলের ভাবনা কানাডার টরেন্টোর ‘স্বামী নারায়ণ মন্দির’। সেই মন্দিরই এবার সেজে উঠবে সিঁথি সার্কাস ময়দানের বিশাল সবুজ প্রাঙ্গণে। ইতিমধ্যেই বাঁশের স্ট্রাকচার তৈরি হয়ে গেছে। চলছে প্যান্ডেলের মধ্যের সাজসজ্জা। থিম শিল্পী উইলিয়াম সরকার। থিমের সঙ্গেই সঙ্গতি রেখে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। প্রতিমাশিল্পী হালিশহরের মনোজ মজুমদার। তবে এ পুজোয় কোনও থিম সং নেই। মন্দিরের আদলে হওয়ায় থিম সংয়ের বড় একটা জায়গাও হয়তো নেই।
বন্ধুদলের অতিকায় প্যান্ডেল তার নৈপুণ্যের গুণে প্রতি বছরই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমসিম খায়। এবার এই পুজোর বাজেট আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন হবে চতুর্থীর দিন। প্রতিবারের মত এবারও বরানগরের অন্যতম সেরা পুজো হিসাবেই হয়তো নিজেদের তুলে ধরতে চলেছে বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজো।