সবে ভারত তার স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধুচন্দ্রিমা থেকে বেরিয়ে শাসনভার ঢেলে সাজাচ্ছে। ১৯৫১ সাল, তৈরি হচ্ছে প্রথম সরকার। সেই সময়েই কলকাতার এক প্রান্তে একটি দুর্গাপুজোও নিজের মত করে শুরু হল। আকারে ছোট। কিন্তু উদ্যোগে খামতি ছিলনা। পাড়ার লোকজন মিলেই শুরু। যেমন করে কলকাতার আর পাঁচটা পুজো জন্ম নিয়েছিল। সেই ৬৬ পল্লী-র পুজো গুটিগুটি পায়ে অনেকগুলো বছর কাটিয়ে ফেলল। এখন কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো ৬৬ পল্লী।
কালের নিয়মে থিমের হাওয়া এই পুজোর গায়েও লেগেছে। এবছর ৬৬ পল্লীর পুজোর থিম ‘বিবর্তন-রংহীন জীবন’। থিমে উঠে এসেছে বাংলার প্রাচীন এক সম্প্রদায়ের কথা। বহুরূপী সম্প্রদায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই পুরনো সংস্কৃতি এখন মৃতপ্রায়। কিন্তু বহুরূপী সম্প্রদায়ের কিছু মানুষজন এখনও আঁকড়ে বেঁচে আছেন তাঁদের বাপ-ঠাকুরদার শিল্পকে। তাঁদের জীবন সংগ্রামই উঠে আসবে এবারের ৬৬ পল্লীর দুর্গাপুজোয়। বীরভূমের বিষয়পুর গ্রাম থেকে কয়েকজন বহুরূপী পুজোর কয়েকদিন এই পুজোমণ্ডপে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। থিমের ভাবনা রূপায়ণ করছেন শুভদীপ মজুমদার ও সুমি মজুমদার।
থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই প্রতিমার রূপদান করা হচ্ছে। প্রতিমাশিল্পী অরুণ পাল। দর্শনার্থীদের কাছে পুরো বিষয়টিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে থাকছে থিম সং। সুর বাঁধছেন গৌতম রায়।
৬৬ পল্লী-র পুজোর এবারের বাজেট আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন দ্বিতীয়ার দিন। পুজোর দিনগুলোয় প্রাত্যহিক লক্ষাধিক জনসমাগম আশা করছেন উদ্যোক্তারা।