১৯৪৪ সাল। বিশ্বজুড়ে এক উত্তাল সময়। কলকাতা সহ গোটা ভারতেও বেশ একটা অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে। সেই সময়ে শোভাবাজার বেনিয়াটোলা এলাকায় একটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো তার পথচলা শুরু করে। তখনও ওই এলাকা কলকাতার পিছিয়ে থাকা এলাকার হিসাবেই পরিগণিত হত। সেখানকার কিছু বাসিন্দার হাতে শুরু হয় শোভাবাজার বেনিয়াটোলা সর্বজনীনের দুর্গাপুজো। মাত্র ১ হাজার টাকা ব্যয়ে শোভাবাজার বেনিয়াটোলা সর্বজনীন দুর্গাপুজোর পথচলা শুরু। পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন বিশ্বনাথ দত্ত এবং অনিল দত্ত। তারপর থেকে প্রজন্ম বদলেছে। কিন্তু পুজো কখনও তার পথচলা স্তব্ধ করেনি।
এবার বেনিয়াটোলার পুজোর থিম ‘আমন্ত্রণ’। তালপাতার আমন্ত্রণপত্র থেকে আধুনিক জীবনের হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণ। এই পর্যায়ক্রমিক বিবর্তনই তুলে ধরা হচ্ছে এবার। গোটা প্যান্ডেলটাই সেজে উঠছে বিভিন্ন ধরণের আমন্ত্রণপত্রে। থিম শিল্পী চন্দ্রশেখর মান্না। থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মা দুর্গাও এখানে আমন্ত্রণপত্রে মিলেমিশে একাকার। মৃন্ময়ী দুর্গা এখানে আমন্ত্রণপত্রে পুজোর শুভেচ্ছা জানাবেন সকলকে। প্রতিমাশিল্পী মিন্টু পাল।
এখনও পুজোর উদ্বোধনের দিনক্ষণ স্থির না হলেও উদ্যোক্তাদের মতে, তৃতীয়া বা চতুর্থীর মধ্যেই উদ্বোধন হয়ে যাবে। মাত্র ১ হাজার টাকায় যে পুজোর সূচনা হয়, এবার সেই শোভাবাজার বেনিয়াটোলার পুজোর বাজেট আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা।