দেশপ্রিয় পার্ক দুর্গোৎসব। দক্ষিণ কলকাতার বহুদিনের পুজো। পায়ে পায়ে ৮০ বছরে পা দিল দেশপ্রিয় পার্কের পুজো। ২০১৫ সালে বড় দুর্গার বিজ্ঞাপনে শহর ভরে পুজোর অনেকদিন আগে থেকেই কৌতূহল চরমে তুলেছিলেন উদ্যোক্তারা। ছিল একটি সিমেন্ট সংস্থাও। ঝলমলে উদ্বোধনও হয়েছিল। কিন্তু তারপর সেই অতিবৃহৎ বড়দুর্গা দর্শনে ভিড় এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে যানজট ও বড় ধরণের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে পুজোয় দর্শকদের আগমন বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। যা কলকাতার দুর্গাপুজোর ইতিহাসে বিরল। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক জলঘোলাও হয় সেসময়ে। কিন্তু দর্শকদের জন্য গেট আর খোলেনি। পুজোটা হয়েছিল ঘরোয়াভাবে।
এবছর সেই দেশপ্রিয় পার্কের পুজোমণ্ডপ সেজে উঠছে বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে। এশিয়ার এক বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দিরকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা। তৈরি হচ্ছে মন্দিরে থাকা নানা ধরণের অদ্ভুতদর্শন মডেল। যা অনেক বৌদ্ধ মন্দিরে দেখতে পাওয়া যায়। থাকছে বিশেষ ধরণের কল্কা। যা বৌদ্ধ মন্দিরের বিশেষত্ব। নৈপুণ্যে খুঁত না রাখতে এখন রাতদিন এক করে চলছে কাজ। শিল্পীরা মনঃসংযোগ করে কাজ করছেন আপনমনে। গোটা প্যান্ডেল গড়ে উঠছে থিম শিল্পী দীপক ঘোষের নির্দেশনায়।
দেশপ্রিয় পার্কের প্রতিমা এবার সাবেকি। প্রতিমাশিল্পী প্রদীপরুদ্র পাল। তবে এই পুজোয় কোনও থিম সং নেই। দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর এবারের বাজেট আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকা। প্রত্যেক দিন লক্ষাধিক মানুষ এই পুজো দেখতে ভিড় জমাবেন বলেই আশাবাদী উদ্যোক্তারা। তবে উদ্বোধনের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।