কলকাতার অনেক পুজোই এখন দর্শকদের মন কাড়ছে। ভিড় উপচে পড়ছে সেখানে। প্রতি বছরই কোনও নতুন বারোয়ারি উদ্ভাবনী দিয়ে চমক দিচ্ছে। কিন্তু বছর ২৫-৩০ আগেও এই অবস্থাটা ছিল না। উত্তর দক্ষিণ মিলিয়ে হাতে গোনা কয়েকটা বড় পুজো দেখতেই দর্শকদের ঢল নামত। সেই হাতে গোনা কিছু বড় পুজোর তালিকায় একটি অবশ্যই কলেজ স্কোয়ারের দুর্গাপুজো। হালফিলের থিমের ঝলকানিতেও যার সনাতনি জৌলুস এতটুকু কমেনি। এখনও কলেজ স্কোয়ারে উপচে পড়া ভিড় জমে। কাতারে কাতারে মানুষ হাজির হন এই পুজো দেখতে। কলেজ স্কোয়ারের অন্যতম আকর্ষণ এখানকার জলাশয়ের ওপর আলোর খেলা। আর আছে বিশাল ঝাড়বাতি।
কলেজ স্কোয়ারের পুজো এবার ৭০ বছরে পা রাখছে। পুজোর সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। তারপর থেকে এই পুজো ক্রমে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই পুজো কোনওকালেই থিমের নয়। বরং একসময়ে কলকাতার পুজোয় বাটামের ব্যবহার করা হত। তৈরি হত মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল। সেই ধারা এখনও ধরে রেখেছে এই পুজো। এবার রাজস্থানের রানি সতী মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। ব্যবহার হচ্ছে লোহা, বেতের মত জিনিস। প্যান্ডেলের সামনে থাকছে বিশাল হনুমানের মূর্তি।
প্রতিমা যেমন সাবেকি ঘরানার হয়ে থাকে, তেমনই হচ্ছে। প্রতিমাশিল্পী স্বনামধন্য সনাতন রুদ্র পাল। আলোর কাজও যেমন থাকে তেমন থাকছে। ফলে কলেজ স্কোয়ার তার নিজের জায়গা এবারও ধরে রাখছে নিজস্বতা বজায় রেখে।
এবার কলেজ স্কোয়ারের পুজোর বাজেট ৫২ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন তৃতীয়ার দিন। প্রাত্যহিক লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।