১৯২১ সাল। স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউ তখন প্রতি মুহুর্তে আছড়ে পড়ছে শহর কলকাতায়। ভারতকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াই চলছে। সেই সময়ে কয়েকজন বিপ্লবীর হাত ধরেই শুরু হয় টালা বারোয়ারির পুজো। একসময়ে নেতাজি বা দাদাঠাকুরের মত মহান ব্যক্তিত্ব এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৯৬ তম বর্ষে টালা বারোয়ারির এ বছরের থিম ‘৫০ বছর এগিয়ে’। উত্তরের উত্তর টালা বারোয়ারি গত বছর সন্ত্রাস, যুদ্ধের ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে থিম গড়ে তাক লাগিয়ে দেওয়ার পর এবার তাদের ভাবনা ৫০ বছর এগিয়ে পৃথিবীটা কেমন হবে! তখনও কী শিশুরা পাবে মাতৃদুগ্ধ? সুন্দরবন কী তখনও সুন্দরবন থাকবে? যন্ত্রই কী শাসন করবে মানব সভ্যতাকে? এসব নানা প্রশ্নের উত্তর দেবে টালা বারোয়ারি। হয়তো টাইম মেশিনে চাপিয়ে দর্শকদের পৌঁছে দেবে ৫০ বছর সামনে। তবে পুরো থিম বা তার বাস্তবায়ন নিয়ে এখনই খুলে বলতে নারাজ উদ্যোক্তারা। বরং সকলের মনে একটা চাপা কৌতূহল জিইয়ে রাখতে চাইছেন তাঁরা। থিম শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
থিমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৈরি হয়েছিল গত বছরের প্রতিমা। এবারও তাই। থিমের সঙ্গে সঙ্গতি থাকছে প্রতিমার। প্রতিমারও রূপদান করছেন শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
টালা বারোয়ারিতে প্রতি বছরই দর্শকের ভিড় উপচে পড়ে। এবারও তার অন্যথা হবে না বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। পুজোর বাজেট আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন হবে তৃতীয়ার দিন।