Durga Pujo

হালসীবাগান

১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। তখনও বাতাসে বারুদের গন্ধ। সেই সময়ে হালসীবাগান এলাকার কিছু মানুষ শুরু করলেন একটি সার্বজনীন দুর্গাপুজো। সাকুল্যে ১০-১২ জন বাসিন্দার উদ্যোগে শুরু হয় হালসীবাগানের পুজো। ওই এলাকায় সেটাই ছিল প্রথম সার্বজনীন দুর্গাপুজো। এরপর পুজো কখনও বন্ধ না হলেও ৩ বার স্থান পরিবর্তন করেছে। এখন পুজো হয় সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাগারের পাশের রাস্তা দিয়ে একটু এগিয়ে।

হালসীবাগানের পুজো থিমের পুজো। আগে না হলেও এখন চারদিকে থিমের রমরমায় হালসীবাগানও পিছিয়ে নেই। এবার তাদের থিম ‘শ্রেয়সী’। এর মাধ্যমে দেখানো হবে কীভাবে মেয়েরা ঘরেবাইরে বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। থিম শিল্পী তপন মাজি।


হালসীবাগানের প্রতিমাও তৈরি হচ্ছে সাবেকি চেতনাকে মাথায় রেখে এবং থিমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। প্রতিমাশিল্পীও তপন মাজিই। এখানে প্রতিমার বৈশিষ্ট্য প্রতিমার হাতে কোনও অস্ত্র থাকছে না। তার বদলে মায়ের হাতে থাকছে ফুল।

হালসীবাগানের এবারের পুজোর বাজেট আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন হবে বৃহস্পতিবার প্রতিপদের দিন। দৈনিক ৫০ হাজারের মত দর্শনার্থী আশা করছেন পুজো উদ্যোক্তারা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button