দুর্গাপুজোর কথা মনে এলেই যে নামটা প্রথমে সামনে এসে পড়ে সেটা হল কুমোরটুলি। যেখানে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় মৃন্ময়ী রূপ পান দেবীদুর্গা। তারপর সেসব মূর্তি প্যান্ডেলে পৌঁছয়। উত্তর কলকাতার গঙ্গাপারের এই পটুয়াপাড়ার ইতিহাস বহু প্রাচীন। এই এলাকায় বেশ কিছু পুজো বহু কাল ধরে হয়ে আসছে। সেসব পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছাড়াও অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী এখানকার পুজোগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। সেসময়ে যেসব স্থানীয় বাসিন্দা পুজোগুলোর সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম আলাদা করে কুমারটুলি পার্কের পুজো শুরু করেন হালে। ১৯৯৩ সালে শুরু হয় এই পুজো। এবার এই পুজোর রজত জয়ন্তী বর্ষ।
তবে আত্মপ্রকাশেই চমক দিয়েছিল কুমারটুলি পার্কের পুজো। ১৯৯৩ সালে শুরুর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে এই পুজো এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান অর্জন করে। ছড়িয়ে পড়ে নামডাক।
কুমারটুলি পার্কের এবারের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বৃন্দাবনের একটি মন্দিরের আদলে। প্রতিমা হচ্ছে সাবেকি। প্রতিমাশিল্পী গোরাচাঁদ পাল। প্যান্ডেলে থাকবে এলইডি আলোর খেলা।
কুমারটুলি পার্কের এবারের পুজোর বাজেট আনুমানিক ৪৫ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন তৃতীয়ার দিন। পুজোর দিনগুলোয় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।