গঙ্গার ধার ঘেঁষে প্রাচীন জনপদ কলকাতার আহিরীটোলা এলাকা। গঙ্গার হাওয়া সারাবছর গায়ে মেখে এখানকার মানুষের দিন কাটে। পাড়ার মুদির দোকানে বেরিয়েও এখানকার মানুষজন চাইলে একবার গঙ্গাস্পর্শ করে আসতে পারেন। পুরনো বাড়িগুলো মনে পরিয়ে দেয় পুরনো কলকাতার কথা। সেই আহিরীটোলা সকলের কাছে আরও পরিচিত তার দুর্গাপুজোর জন্য। আহিরীটোলা সার্বজনীনের দুর্গাপুজো বহুদিন ধরেই কলকাতার সেরা পুজোর একটা। ফলে এই পুজোয় দর্শনার্থীর ঢল থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে বাড়ির বারান্দায় বসেই গোটা পুজো কাটিয়ে দিতে পারেন।
১৯৪০ সালে আহিরীটোলার কয়েকজন বাসিন্দা এখানে দুর্গাপুজো চালু করার পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু হয় পুজো। পুজো হয় একটি খোলা মাঠে। বিশাল মাঠ নয়। অপরিসর ছোট খোলা জায়গা। এবছর পুজো ৭৮ তম বর্ষে পা দিল। এবারের পুজোর থিম ‘সৃষ্টির মেলবন্ধন’। বাঁশ ও লোহার কাঠামোতে নতুন ভাবনায় প্যান্ডেল গড়ছেন থিম শিল্পী সুতনু মাইতি।
পুজোর প্রতিমা সাবেকি ঘরানার। প্রতিমা গড়ছেন শিল্পী নবকুমার পাল। আর থিম সং রূপায়ণ করেছেন পণ্ডিত মল্লার ঘোষ। আহিরীটোলা সার্বজনীনের এবছরের পুজোর বাজেট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।
প্রত্যেক বছর পুজোর উদ্বোধন হয় মহালয়ার দিনে। এবছরও পরম্পরা মেনে মহালয়ার দিনেই পুজোর উদ্বোধন। উদ্যোক্তাদের আকাঙ্ক্ষা গত বছরের মত এবছরও তাঁদের পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই হোক। সে চেষ্টাও চালাচ্ছেন তাঁরা। এবার পুজোয় প্রতিদিন অন্তত ১ লাখ দর্শক আশা করছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।