দমদম পার্ক তরুণ সংঘের পুজো এখন জনপ্রিয়তার তালিকায় উপরের দিকে। কিন্তু এ পুজোর বয়স তেমন একটা নয়। কারণ দমদম পার্ক এলাকাটাই একটি নতুন জনবসতি। যা শেষ ৩০ বছরে অনেকটাই উন্নতি করেছে। ১৯৮৬ সালে দমদম পার্ক এলাকায় এই পুজোর আরম্ভ। সেসময়ে এখানে পুজো বলতে ছিল এই পুজোটিই। তার বাইরে আর কোনও পুজো এই এলাকায় হতনা। বাকি এলাকা পুজোর দিনগুলোতেও ডুবে থাকত আর পাঁচটা আমদিনের অন্ধকারে। ১৯৮৬ সালে পুজো শুরু হলেও তা হত কোনওরকমে। কোনও জাঁকজমক ছিলনা।
১৯৯৯ সালে প্রথম দমদম পার্ক তরুণ সংঘের পুজো অন্য মোড় নেয়। পুজোয় লাগে থিমের ছোঁয়া। সেই শুরু। তারপর থেকে এই পুজোকে আর কখনও পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বছর ঘুরেছে। পুজো আরও বড় হয়েছে। মানুষের মনে দ্রুত জায়গা করে নিয়েছে এই পুজো।
দমদম পার্কের এই পুজোর এবারের থিম সৌরাষ্ট্রের শিল্পকলা ‘মাতা নি পাচেডি’। মাতা নি পাচেডি-র অর্থ ঠাকুরের পিছনের কাপড়। এই কাপড় দিয়েই মন্দির সেজে ওঠে। গুজরাটের সেই আধ্যাত্ম্য চেতনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শিল্পকলাকেই এবার দমদম পার্কের প্যান্ডেলের অন্যতম আকর্ষণ করে তুলছেন থিম শিল্পী গোপাল পোদ্দার। রঙিন এই শিল্পকলা গোটা প্যান্ডেলেই এক অন্য মোহময়তা তৈরি করবে। প্যান্ডেলে থাকছে বাঁশের কাজও।
প্রতিমাতেও থাকছে সমান চমক। মা দুর্গার ৬৪টি রূপ এখানে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিমাশিল্পী শ্রীধর মাহাতো। থিম সং থাকছে। তবে তা আবহসঙ্গীত হিসাবে মিউজিক সিস্টেমে বাজবে না। একেবারে লাইভ হবে থিম সং। লাইভ পারফর্ম করবেন মুরারিলালা ভাই।
এবার দমদম পার্ক তরুণ সংঘের পুজোর উদ্বোধন দ্বিতীয়ার দিন। ফলে ঠাকুর দেখার জন্য অনেকগুলো দিন হাতে পাবেন দর্শকরা। প্রতিদিন ২ লক্ষ দর্শকের সমাগম আশা করছেন উদ্যোক্তারা।