গলিটা বড় একটা চওড়া নয়। উত্তর কলকাতার পুরনো রাস্তা যেমন হয় আরকি! খান্নার অদূরে তেমনই একটা গলি নলিন সরকার স্ট্রিট। ১৯৩২ সালে এই পাড়ার অধিবাসীরা একত্র হয়ে পুজোর উদ্যোগ নেন। সেই শুরু। প্রথমে পুজো হত পাড়ার একটি গ্যারাজে। পরে পুজো সরে আসে রাস্তার ওপর। ওখানকার পুরনো বাসিন্দারা জানেন ওখানে বিধুশ্রী নামে একটি সিনেমা হল ছিল। তারই উল্টোদিকে অরবিন্দ সরণি দিয়ে যে গলিটি ঢুকেছে সেই গলিতে এখন পুজো হয়।
প্রতিবছরই পুজোর থিমে নলিন সরকার স্ট্রীট সর্বজনীন দর্শকদের মনে একটা বাড়তি উৎসাহের জন্ম দেয়। এবার তাদের থিম সহানুভূতি নয়, একটু ভালোবাসা। প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের প্রতি সহমর্মিতাকে সামনে রেখেই এবারের থিম সাজানো হয়েছে। থিম সাজাচ্ছেন বিখ্যাত শিল্পী সনাতন দিন্দা। প্যান্ডেলের দুদিক খোলা থাকছে।
থিম করলে তারসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমাও রূপ পায়। এবার নলিন সরকার স্ট্রীট সর্বজনীনের প্রতিমা সাবেকি। প্রতিমাশিল্পী পরিমল পাল। মাকে ঘরোয়া সাজেই সাজানো হচ্ছে। মা দুর্গার কোলে থাকছে একটি প্রতিবন্ধী শিশু। সেখানেই সকলকে চমকে দিতে চলেছে নলিন সরকার স্ট্রীট সর্বজনীন। রয়েছে থিম সং-ও। থিম সং তৈরি করছেন রিন্টু দাস।
নলিন সরকার স্ট্রীট সর্বজনীনের এবারের পুজোর বাজেট ৩৫ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন তৃতীয়ার দিন। প্রতি বছরই এ পুজোর ভিড়ে অরবিন্দ সরণি সন্ধের পর খান্না থেকে হাতিবাগান পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যায়। গাড়ি চলাচল করে না। শুধু মাথা আর মাথা। এবছর পুজোর পাঁচ দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ দর্শক সমাগম আশা করছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।