বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী তো বটেই এমনকি সাধারণ মানুষের কাছেও শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসবের এক সবিশেষ গুরুত্ব আছে। রাধা-কৃষ্ণের রাস নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এবার নবদ্বীপের রাস উৎসবকে থিম বানাতে চলেছে বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির। রাসের বিভিন্ন পর্ব উঠে আসবে মণ্ডপে। রাসের ছোঁয়ায় মণ্ডপে এক অন্য আবহ তৈরি হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপে বাজবে কীর্তন সম্রাজ্ঞী সরস্বতী দাসের মধুর কণ্ঠ। খুব বড় বাজেট নয়। কিন্তু তার মধ্যেই এক শৈল্পিক স্পর্শ তাঁরা দিতে পারবেন বলেই মনে করছেন বৃন্দাবন মাতৃ মন্দিরের উদ্যোক্তারা। এই পুজোর বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন তৃতীয়ার দিন।
কলকাতার দুর্গাপুজোর ইতিহাসের অন্যতম পুরনো পুজো বৃন্দাবন মাতৃ মন্দিরের পুজো। সুকিয়া স্ট্রিট সংলগ্ন এই পুজো এবার ১০৯ বছরে পা দিল। উদ্যোক্তাদের তরফে শিবেন্দু মিত্র জানালেন, চতুর্থীর দিন ‘১০৯ এর সূচনায় সাজবে ওরা নতুন জামায়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাঁরা। পুজো তো বাঙালির সবচেয়ে খুশির উৎসব। সে উৎসবের অন্যতম অঙ্গ প্রতি অঙ্কে নতুন পোশাক। কিন্তু আমাদের আশপাশেই এমন অনেকে রয়েছেন যাঁদের পুজোয় নতুন জামাকাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। পুজোর দিনগুলোয় তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়ে পুজোকে সর্বাঙ্গসুন্দর করার চেষ্টা করেছে বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে এঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন পোশাক।
থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা তৈরি হচ্ছে এখানে। নবদ্বীপ থেকে আসা রাজু সূত্রধরের তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। এছাড়া পুজো থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজের উদীয়মান প্রতিভাদের হাতে তা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।