৩০ বছর পার করেছে বিআর চোপড়ার টিভি সিরিয়াল মহাভারত। মহাকাব্য নিয়ে তার আগেই তৈরি হয়েছিল রামায়ণ। তারপর এল মহাভারত। গোটা ভারত সে সময়ে কার্যত গোগ্রাসে গিলত এই সিরিয়াল। সপ্তাহে ১টা দিন সব কাজ থমকে যেত এই সিরিয়াল চলাকালীন। সেই মহাভারত-এ তিনি ছিলেন দুর্যোধনের ভূমিকায়। মহাভারতের সবচেয়ে বড় ভিলেন হয়তো এই দুর্যোধনই। পুনিত ইসার ছিলেন সেই দুর্যোধনের ভূমিকায়। ৩০ বছর পার করে এখনও তিনি মানুষের ঘরে ঘরে দুর্যোধনই রয়ে গেছেন বলে নিজেই জানালেন পুনিত।
৬০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে তিনি বিশ্বাস করেন মানুষ তাঁর একটা ডাকনাম দিয়েছেন। তাঁকে সেই নামেই সকলে চেনেন আর সেই নামটা হল দুর্যোধন। তিনি একটি থিয়েটারও করছেন মহাভারত নিয়ে। স্টেজে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন এই মহাকাব্যকে। তবে দুর্যোধনের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি দুর্যোধন সম্বন্ধে অনেকটাই জেনেছেন। দুর্যোধনকে ভিলেন হিসাবে দেখা হলেও পুনিতের চোখে দুর্যোধন ভিলেন নন, একজন খুব জটিল চরিত্র।
পুনিত জানালেন, দুর্যোধন জন্মের পরই রাজগুরু ও জ্যোতিষীরা বলেছিলেন এই ছেলে কাল। হস্তিনাপুরকে বাঁচাতে গেলে দুর্যোধনকে মেরে ফেলা উচিত। কিন্তু তাঁর মায়ের চেষ্টায় রক্ষা পান দুর্যোধন। কিন্তু তিনি বেড়ে উঠতে থাকেন অত্যন্ত অবহেলায়। যা তাঁকে ক্রমশ একটি জটিল চরিত্রে রূপান্তরিত করতে থাকে।
পুনিত দুর্যোধনের চরিত্র নিয়ে রীতিমত পড়াশোনা করেছেন। বেদব্যাসের মহাভারত বলেই নয়, দুর্যোধন বা কর্ণের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা বিভিন্ন বইও তিনি পড়ে ফেলেছেন। তা থেকে দুর্যোধনকে তিনি এখনও ঠিক ভিলেন হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না। যদিও ভারতবাসীর চোখে কিন্তু মহাভারতের সবচেয়ে বড় ভিলেন দুর্যোধনই। কারণ তিনি ছিলেন পাণ্ডবদের চরম বিরোধী। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণও তাঁর চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছে। তারপরেও দুর্যোধন কিন্তু এক জটিল চরিত্র বলেই মনে হয়েছে পুনিত ইসারের। আর সেটাই এবার মঞ্চে নাটকের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চান তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা