দার্জিলিং তো চেনেন, মিনি দার্জিলিং গেছেন কখনও
দার্জিলিং তো সকলেই চেনেন। দেশ কেন বিদেশের মানুষের কাছেও পরিচিত এই শৈল শহর। কিন্তু ভারতের মিনি দার্জিলিংয়ে গেছেন কখনও?
দার্জিলিং নামটার মধ্যেই একটা টান আছে। যা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষকে টেনে আনে এখানে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গর্ব দার্জিলিং। পাহাড়ি এ শহর তার সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। দার্জিলিং বিশ্বে বিখ্যাত তার সৌন্দর্য আর চায়ের জন্য।
তবে সেই আসল দার্জিলিং ছাড়াও ভারতে একটি মিনি দার্জিলিং রয়েছে। ভারতের একটি স্থানকে মিনি দার্জিলিং বলা হয়। বলার পিছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। এ জায়গার আবহাওয়া আর্দ্র।
সারাবছরই আর্দ্র একটা আবহাওয়া বিরাজ করে এখানে। প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয় এখানে। যা এখানকার আর্দ্রতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। ভিজে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের সময়টা এখানে কনকনে ঠান্ডায় মোড়া থাকে।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে হাড় হিম করা ঠান্ডা বিরাজ করে। দার্জিলিংয়ে যেমন আবহাওয়ার ছোঁয়া পাওয়া যায়, বিহারের পূর্ণিয়াতেও প্রায় তেমনই আবহাওয়া বিরাজ করে। যা পূর্ণিয়াকে ভারতের মিনি দার্জিলিং হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।
বিহারের পূর্ণিয়াকে কেবল মিনি দার্জিলিংই বলা হয়না, তার সঙ্গে একে গরিব মানুষের দার্জিলিংও বলে থাকেন অনেকে। সারাবছরই একটা নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া পূর্ণিয়ায় থেকে যায়।
বিহারে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতও হয় এই পূর্ণিয়াতেই। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পূর্ণিয়ার আর্দ্র আবহাওয়া তাকে মিনি দার্জিলিং করে তুলেছে।
বাংলা লাগোয়া এই পূর্ণিয়া জেলায় বহু বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বাস। অধিকাংশ ঐতিহাসিকের ধারনা পুরানা দেবী মন্দির থেকেই এখানকার নাম পূর্ণিয়া হয়ে গেছে।