ব্যাডমিন্টন বিশ্বকাপে ভারত যে আদৌ কখনও সেরার সম্মান অর্জন করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতেন তাবড় ব্যাডমিন্টন বিশেষজ্ঞই। সেই বিশ্বকাপ অবশেষে ঘরে তুললেন পিভি সিন্ধু। বিশ্বসেরার সম্মান অর্জন করতে এদিন পিভির লেগেছে মাত্র ৩৬ মিনিট। তাও কার্যত প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে না দিয়েই ফাইনাল জিতে নেন তিনি। মহিলা সিঙ্গলসে জাপানের নোজুমি ওকুহারাকে ২১-৭, ২১-৭ ব্যবধানে হারিয়ে দেন সিন্ধু। ফাইনালে সিন্ধু দাঁড়াতেই দিলেন না নোজুমিকে।
পিভি সিন্ধু কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেন না। ২০১৭ সালেও তিনি ফাইনালে ওঠেন। সেবারও তাঁর সামনে ছিলেন নোজুমি। সেই লড়াই চলেছিল হাড্ডাহাড্ডি। ২ ঘণ্টার ওপর টানা লড়াই দিয়ে অবশেষে হেরে যান পিভি। ২০১৮ সালে ফের ফাইনালে পৌঁছন তিনি। এবার মুখোমুখি হন স্পেনের ক্যারোলিনা মারিনের। সেই ম্যাচেও হারতে হয় তাঁকে। এবার তাঁর সামনে ছিল ২টি সুযোগ। এক, ফাইনালে উঠে হারার শাপ থেকে মুক্তি। দুই, ২০১৭-তে নোজুমির বিরুদ্ধে প্রবল লড়েও হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়া। ২০১৯-এ এসে ২টিই একসঙ্গে করলেন পিভি সিন্ধু। হারালেন নোজুমিকে। ফাইনালে হারার নজির থেকে শাপমোচনও হল তাঁর।
সোনার পদক অর্জন করার পর সিন্ধুর এই বিরল কৃতিত্বকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্যুইটে মোদী জানান, পিভি এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তাঁর নজির নতুন খেলোয়াড়দের প্রেরণা যোগাবে। এবার নিয়ে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন থেকে ৫টি পদক ঘরে তুললেন পিভি। তবে এটাই সেরা। স্বর্ণ পদক পেলেন তিনি। এবার বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে ভারত আরও এক বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এর আগে পুরুষ সিঙ্গলসে ভারতের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রথম চারে পৌঁছতে পারেননি। এবার প্রথম সেই শেষ চারে পৌঁছলেন সাই প্রণীত। তিনি প্রতিযোগিতায় পেলেন ব্রোঞ্জ পদক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা