
দিদিকে সেই খুন করেছে। আর সেজন্য তার কোনও অনুশোচনা নেই। পাক মডেল কান্দিল বালোচ হত্যাকাণ্ডে তার ভাই ওয়াসিমকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে অকপটে এমনই জানিয়েছে নির্বিকার ওয়াসিম। পাক মডেল কান্দিল বালোচের হত্যার ঘটনায় তার ভাইকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। গত শনিবারই কান্দিলের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের তরফে জানান হয় পরিবারের সম্মানরক্ষার্থে কান্দিলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার ভাই ওয়াসিম। ১৭ বছরে বিয়ে। ১৯ বছরে ডিভোর্স। ততক্ষণে এক ছেলের মা ফৌজিয়া আজিম। কিন্তু ফৌজিয়া আজিম হয়ে থাকাকে ভবিতব্য হিসাবে মানতে নারাজ ছিলেন ওই তরুণী। ডিভোর্সের পর সিদ্ধান্ত নেন মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখবেন। নাম বদলে মডেলিং জগতে কান্দিল বালোচ নামে দ্রুত সাফল্যের শিখর ছুঁতে থাকেন তিনি। সাহসী ফটোশ্যুটের হাত ধরে পাক মডেল হিসাবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে নাম। সাফল্য যত এসেছে ততই নতুন নতুন বিতর্কে নাম জড়িয়েছে কান্দিলের। সেটা খোলামেলা ছবি হতে পারে অথবা বিতর্কিত মন্তব্য। তাঁর সাহসী ফটোশ্যুটের জন্য পাকিস্তানের কিম কার্দাশিয়ান নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। এমনকি টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে নাচবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দেন কান্দিল। যদিও তাঁর সেই ইচ্ছাপূরণ হয়নি। আর তা না হওয়ার জন্য কান্দিল এতটাই ব্যথিত ছিলেন যে পাক দল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর কেঁদে ভাসিয়ে দেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি একটা কিছু আন্দাজ করে বিভিন্ন মহলে সুরক্ষা চেয়ে আবেদনও জানিয়েছিলেন। অবশেষে মুলতানের বাড়িতে খুন হলেন বছর ২৬-এর এই পাক মডেল। পারিবারিক সূত্রের দাবি, কান্দিলকে বারবার মডেলিং দুনিয়া থেকে সরে আসার জন্য পরিবার থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সে কথায় কান দিতেন না তিনি। পুলিশের অনুমান পরিবারের সম্মানার্থেই অবশেষে ভাইয়ের হাতে প্রাণ হারাতে হল এই পাক সুন্দরীকে।