এ গাছে নাকি অতৃপ্ত আত্মারা বসবাস করে, এমনই বিশ্বাস স্থানীয়দের
স্থানীয় মানুষের চিরাচরিত বিশ্বাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে চলে। সেই বিশ্বাসের ওপর ভর করে এই আপাত খর্বাকার গাছেই বাস করে অতৃপ্ত আত্মারা।
এই গাছগুলো সাধারণভাবে খুব শুকনো জায়গায় জন্মায়। খুব আস্তে বাড়ে বলে এগুলি খুব বেশি উচ্চতায় পৌঁছয় না। বরং কাণ্ডটি একটু উপরে উঠে সেই কাণ্ডেরই যেন ভাগ হয়ে কিছু ডালের মত তৈরি হয়। সেসব ডালের মাথার কাছে খোঁচা খোঁচা পাতার ঝাঁক দেখতে পাওয়া যায়।
তবে এ গাছ যে খুব পাতাবহুল হয় তা নয়। এটা তো গেল গাছের কথা। কিন্তু এ গাছের আরও একটি পরিচিতি লুকিয়ে আছে স্থানীয় মানুষের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে আসা বিশ্বাসে।
এই গাছের নাম কুইভার গাছ। আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি এই গাছের দেখা মেলে নামিবিয়ার শুকনো এলাকায়।
নামিবিয়ার স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস এ গাছে আত্মারা বাস করে। কোন আত্মারা? স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন যদি কোনও মানুষের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ কবর দেওয়া না হয় তাহলে সেই আত্মা অতৃপ্ত হয়ে এই গাছে আশ্রয় নেয়।
মৃতদেহ সৎকার না হলে তার আত্মার বসবাসের স্থান হয় এই কুইভার গাছ। এই প্রাচীন বিশ্বাস কিন্তু বছরের পর বছর ধরে মুখে মুখে চলে আসছে নামিবিয়ায়।
বিশেষত আদিবাসী এলাকায় এই বিশ্বাস বেশ শক্ত জায়গা করে নিয়েছে মানুষের মনে। নামিবিয়ার একটি আদিবাসী গোষ্ঠী আবার এই গাছের যে ফাঁপা ডাল রয়েছে তার অংশ কেটে নিয়ে দৈনন্দিন জীবনে তা কাজে লাগায়।