বাঙালির জীবনের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে যদি কোনও মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকেন, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যিনি আজও বাঙালির বেঁচে থাকার রসদটুকু যুগিয়ে চলেছেন নিভৃতে। বাঙালির প্রাণের কবির আজ ১৫৮তম জন্মদিবস। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মত সেজে উঠেছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ভিটে। গানে, কবিতায়, স্মৃতিচারণে এদিন সকাল থেকেই জমজমাট জোড়াসাঁকো। একের পর এক অনুষ্ঠান চলেছে। বহু মানুষ সকাল থেকেই হাজির হন এখানে। রবীন্দ্রময় পরিবেশে কবিগুরুকে স্মরণ করেছেন তাঁরা।
জোড়াসাঁকোর মত রবীন্দ্রনাথের কর্মস্থল শান্তিনিকেতনেও এদিন সকাল থেকেই ছিল সাজোসাজো রব। দিনভর অনুষ্ঠানে এদিন সরগরম গোটা শান্তিনিকেতন প্রাঙ্গণ। পাঞ্জাবী, শাড়িতে বঙ্গ তারুণ্য এখানে নিজেদের মত করে স্মরণ করেছেন রবীন্দ্রনাথকে। বিশ্বভারতীর নিজস্ব প্রথা মেনে পালিত হয়েছে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী। জোড়াসাঁকো বা শান্তিনিকেতন বলেই নয়। বিভিন্ন ক্লাব, সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাড়াতেও এদিন পালিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। শহরে বেরিয়েছে প্রভাতফেরি। দিনভরই নানা জায়গায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। কবিতা, গান, নাচ, নৃত্যনাট্যে ২৫শে বৈশাখের সকাল এদিনও এক অন্য সকাল নিয়েই হাজির হল বঙ্গবাসীর জীবনে। যে আবেশ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আলোচনায় মনে লেপটে থাকবে সারাদিন। আর যতদিন মানব সভ্যতা বেঁচে থাকবে ততদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামটা বাঙালিকে বিশ্বের দরবারে গর্বিত করবে।