নিয়মরক্ষার ২৫শে বৈশাখে করোনায় আড়াল কবিগুরু
২৫শে বৈশাখের সকাল মানেই রাজ্যেজুড়ে এক উৎসবের মেজাজ। রবীন্দ্র স্মরণের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। সে সবই এদিন ম্লান।
অনেকের মনেই পড়লনা যে রবিবার সকালটা আর পাঁচটা দিনের মত নয়। এদিন ২৫শে বৈশাখ। বাঙালির হৃদয়ে মননে জাগ্রত এক মহামানবের জন্মদিন।
করোনা, অক্সিজেন, সংক্রমণ, মৃত্যু, হাসপাতাল আর আতঙ্ক হাহাকারের মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে গেল বাঙালির ১৩ পার্বণের এই পার্বণটি।
যদিও বা মনে পড়ল তো নমো নমো করে হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে একে অপরকে রবীন্দ্রজয়ন্তীর শুভেচ্ছার মধ্যেই সীমিত রইল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালন।
রবীন্দ্র সদনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে মালা দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাঙালি জীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতার কথা তুলে ধরেন তিনি। তবে অনুষ্ঠানে ভিড়ভাড় কিছু ছিলনা। কয়েকজন মাত্র মানুষকে নিয়েই হয় অনুষ্ঠান।
এদিন জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলনা। ফলে যে ছবি ২ বছর আগেও ছিল স্বাভাবিক তা গত ২ বছরে চাপা দিয়ে দিল করোনা।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি। সঙ্গে ছিলেন হাতে গোনা মানুষজন।
এদিন বিভিন্ন পাড়া ও ক্লাবেও রবীন্দ্রনাথের ছবি বা মূর্তিতে মালা দেওয়া হয় সকালে। ছোট করে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্র স্মরণও হয়। তবে ওইটুকুই। বড় কোনও অনুষ্ঠান এদিন কোথাও হয়নি।