দেশের কালোটাকার ৯৪ শতাংশই রয়েছে সুইস ব্যাঙ্কে। আর এখানে বাকি ৬ শতাংশের পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ৯৪ শতাংশ কারা, তাদের পুরো তালিকা সুইস সরকার মোদীর হাতে তুলে দিয়েছে। কার অ্যাকাউন্টে কত কালো টাকা গচ্ছিত আছে তাও জানেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে আড়াই বছরেও কোনও পদক্ষেপ করতে পারলেন না তিনি। এদিন উত্তরপ্রদেশের জোনপুরে একটি প্রচারসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নোট বাতিল ইস্যুতে এভাবেই নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুল এদিন বলেন, মোদীর কাছে সুইস ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখা কালো টাকার কারবারিদের নামের তালিকা রয়েছে। কিন্তু তিনি তা প্রকাশ্যে আনছেন না। রাহুলের দাবি, এদেশে কালো টাকার কারবারিরা কাগজি নোটে কালো টাকা রেখে দেয়না। তারা তা রিয়েল এস্টেট, সোনা বা সুইস ব্যাঙ্কে রেখে দেয়। পাশাপাশি দেশের ৫০টি ধনী পরিবার মোদীর বিজ্ঞাপনের টাকা যোগায় বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন রাহুল। এদিন কৃষি ঋণ মকুব নিয়েও সওয়াল করেন তিনি। তাঁর দাবি, বিজয় মালিয়ার ১২০০ কোটি টাকার ঋণ সরকার মকুব করতে পারে। ললিত মোদীকে বিদেশেই লুকিয়ে রাখে। আর কৃষকদের ঋণ মকুব করতে পারছে না! কৃষকরা সামান্য ঋণ নিয়ে তা সময়ে শোধ না করতে পারলে তাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী। নোট বাতিলের নামে দেশের গরীব মানুষের ওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফায়ার বোম্বিং চালিয়েছেন বলে দাবি করে রাহুল বলেন, দেশের গরীবদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন মোদী। আমজনতা তাঁর দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্র চেক বা কার্ডে কেনেন না বলে দাবি করে রাহুল বলেন, এজন্য তাঁরা ক্যাশ ব্যবহার করেন। এদিন মোদীকে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ বলেও তোপ দাগেন রাহুল। তাঁর দাবি, ভোটের প্রচারের সময়ে মোদী বলেছিলেন দেশের কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে তা দেশবাসীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে। ১৫ লক্ষ টাকা করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে যাবে। সেই প্রতিশ্রুতির কী হল, সেকথাও এদিন জানতে চান রাহুল গান্ধী।