প্রথমে বিমানে রাজস্থানের উদয়পুর। সেখান থেকে শচীন পাইলট সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সড়কপথে মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোন তিনি। তারপর নিমাডেহা থেকে মোটরবাইকে সওয়ার হয়ে যখন মধ্যপ্রদেশের সীমান্তে নিমাচের কাছে পৌঁছন রাহুল গান্ধী তখন তাঁকে মান্দসৌরে যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় পুলিশ। শুরু হয় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। এরপরই জোর করে মান্দসৌর যাওয়ার চেষ্টা করায় গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। গ্রেফতার হন শচীন পাইলট সহ অন্যান্য নেতারাও। গ্রেফতার হওয়ার সময় রাহুল জানান, মান্দসৌরে কৃষকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। গত কয়েকদিন ধরেই কৃষক আন্দোলনে উত্তাল মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌর। গত মঙ্গলবার সেখানে গুলিও চলে। গুলিতে মৃত্যু হয় ৬ কৃষকের। শিবরাজ সরকার পুলিশের গুলিতে কৃষক মৃত্যুর কথা অস্বীকার করলেও, আন্দোলনরত কৃষকদের তরফে দাবি করা হয় গুলি চালায় পুলিশই। আর তাতেই মৃত্যু হয় ৬ কৃষকের। এরপর গত বুধবার রাহুল গান্ধী জানিয়ে দেন তিনি মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কিন্তু মান্দসৌর পুলিশের তরফে তা নাকচ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তাই রাহুল গান্ধীকে তারা মান্দসৌরে ঢুকতে দেবে না। তারপরই এদিন জোর করে মান্দসৌর যেতে চাইলে গ্রেফতার করা হয় রাহুল গান্ধীকে। এদিকে এদিনও মান্দসৌরের অবস্থা উত্তপ্ত ছিল। কৃষক আন্দোলন অব্যাহত।