শোলের বিখ্যাত ডায়লগ ‘ইয়ে হাত মুঝে দে দে ঠাকুর’-এর সঙ্গে চলতি বছর থেকে চালু হওয়া পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি-র তুলনা আগেই টেনেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার আরও একবার সেই একই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন তিনি।
এর আগে বহুবার জিএসটির সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারের জিএসটি প্রকল্পের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী যে বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছেন তা তিনি গত সোমবার গুজরাটের গান্ধীনগরে জাতীয় কংগ্রেস আয়োজিত সমাবেশে ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাহুলের দাবি, জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে ভারতীয়দের উপার্জনের হার নিম্নমুখী হয়েছে। এই কর কাঠামোর প্রভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। এই করকাঠামো দেশের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি। দেশ এত বড় একটা ক্ষতির মুখে পড়ার পরও সরকার এই বিষয়ে কোনও কিছুই শুনতে চাইছে না বলে অভিযোগের তির ছুঁড়েছেন তিনি।
কংগ্রেস মোদী সরকারকে জিএসটির বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে আগেই সতর্ক করলেও সরকার তার কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলেও মঙ্গলবার অভিযোগ করেন রাহুল। এই বিষয়ে তিনি ট্যুইটারে একটি ফর্মুলা তুলে ধরেছেন। ব্যঙ্গের ছলে তিনি লিখেছেন, কংগ্রেস জিএসটি = জেনুইন সিম্পল ট্যাক্স। আর মোদীজির জিএসটি = গব্বর সিং ট্যাক্স = ইয়ে কামাই মুঝে দে দে।
১৯৭৫-এর ব্লকব্লাস্টার সিনেমা শোলের আমজাদ খান এবং সঞ্জীব কুমার অভিনীত দৃশ্যে গব্বরের সেই বিখ্যাত ডায়লগ ‘ইয়ে হাত মুঝে দে দে ঠাকুর’-কে সামনে রেখে রাহুল গান্ধীর এদিনের কটাক্ষ জনসভায় হাততালির রোল তোলে। জিএসটি নিয়ে এমন খোঁচা শুধু রাহুল গান্ধী বলেই নন, খোদ গুজরাটের বিভিন্ন মহল থেকেও এসেছে। যা সামনের গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির জন্য সুখবর নয়।