গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে মাটি কামড়ে পড়ে যুযুধান ২ পক্ষ। বিজেপি ও কংগ্রেস, কেউই কাউকে তিলমাত্র জমি ছাড়তে নারাজ। প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন মন্দিরেও পা রাখছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেখানে পুজো দিচ্ছেন। বিগ্রহ দর্শন করছেন। প্রণাম সারছেন। প্রচারের ফাঁকে নিজেকে শিবভক্ত বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিন সৌরাষ্ট্রের অন্যতম প্রসিদ্ধ সোমনাথ মন্দিরে হাজির হন রাহুল। সঙ্গে ছিলেন আহমেদ প্যাটেল সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। অহিন্দুদের সেখানে একটি আলাদা রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। সেই রেজিস্টারে রাহুল গান্ধীর নাম দেখতে পাওয়া যায়। যদিও নামের পাশে রাহুল গান্ধীর কোনও সই ছিল না। এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি বিজেপি কর্মীরা। দ্রুত সেই রেজিস্টারের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন তাঁরা। শুরু হয় টিপ্পনী, সমালোচনা। বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুলে দেন রাহুলের হিন্দুত্ব নিয়ে। বিতর্কে জল ঢালতে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করেন কংগ্রেসের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মনোজ ত্যাগী। তিনি আহমেদ প্যাটেলের নাম সেখানে নথিভুক্ত করছিলেন। তখনই রাহুল গান্ধীর নামও ওই রেজিস্টারেই নথিভুক্ত করে দেন। এ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিকেলে যখন এই কাণ্ড ঘটে তখন গুজরাটের প্রাচী শহরে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কানে বিষয়টি পৌঁছয়। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনসভায় দাবি করেন, এক সময়ে রাহুল গান্ধীর ঠাকুমার বাবা জওহরলাল নেহেরু সোমনাথ মন্দির তৈরিতে অরাজি ছিলেন। রাহুল গান্ধী সেই ইতিহাস কী ভুলে গেছেন? প্রসঙ্গত সোমনাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে অহিন্দুদের মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতির দরকার পড়ে। সেজন্যই সেখানে অহিন্দুদের জন্য একটি রেজিস্টারও রাখা থাকে।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার)