National

বিক্ষোভ দেখাতে গাড়ির ওপর উঠে পড়লেন রাহুল গান্ধী

সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে রাতারাতি ছুটিতে পাঠানোর বিরুদ্ধে এবার দেশ জুড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হল কংগ্রেস। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় সিবিআই দফতরের সামনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের নেতৃত্বে বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় বিক্ষোভ। জয়পুর থেকে পাটনা, দিল্লি থেকে চেন্নাই। দেশের প্রায় সব বড় শহরেই এদিন কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখায়। সর্বত্রই সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের রুখতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কোথাও চলেছে জলকামান, কোথাও হয়েছে লাঠিচার্জ।

দিল্লিতে সিবিআই দফতরের সামনে এদিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা। পুলিশ তাঁদের প্রতিহত করতে জোর খাটায়। এসময়ে রাহুল গান্ধী গাড়ির ওপর উঠে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে দেখে আরও উৎসাহ পান কংগ্রেস কর্মীরা। যদিও তিনি এরপর বেশি এগোতে কংগ্রেস কর্মীদের মানা করতে থাকেন। এখানে কংগ্রেসের ২৫ জন নেতা কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে রাহুল গান্ধী নিজে গিয়ে দিল্লির লোধী রোড পুলিশ স্টেশনে প্রতীকী গ্রেফতারি বরণ করেন। এদিন কংগ্রেসের এই বিক্ষোভে সামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, আপ, লোকতান্ত্রিক জনতা দল, সিপিআই সহ অন্য বেশ কয়েকটি বিরোধী দল।


সিবিআই কাণ্ডকে সামনে রেখে কংগ্রেস যেভাবে উঠে পড়ে আন্দোলনের তেজ বাড়াচ্ছে তাতে তা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির জন্য খুব ভাল খবর নয়। ২০১৯ -এর আগে সিবিআই কাণ্ড কিন্তু তাদের ঘরে বাইরে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীরা পালে হাওয়া পাওয়ায় দ্বিগুণ উৎসাহে আন্দোলন শুরু করেছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কংগ্রেস বা অন্য বিরোধীদলগুলি কতটা সফল হয় সেদিকে চেয়ে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে বিজেপি এই কোণঠাসা পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসার রাস্তা করে নেয় সেদিকেও চেয়ে সকলে।

(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button