সকালে কোঝিকোড়ে এসে নামেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কোঝিকোড়ে নামার পরই মানুষের তাঁদের ঘিরে উচ্ছ্বাস টের পান রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টারে তাঁরা হাজির হন কেরালার অন্যতম পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসাবে পরিচিত ওয়ানাডে। ওয়ানাডে হেলিকপ্টার থেকে যেখানে তাঁরা নামেন সেখান থেকে কালেক্টর অফিস ৫০০ মিটার দূরে। কিন্তু ওইটুকু রাস্তা পার করতে গিয়েই সেখানে তাঁদের ঘিরে উন্মাদনা বাঁধ ভাঙে। রাস্তার দুপাশে থিক থিক করছে মানুষ। তিল ধারণের জায়গা নেই।
রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সুরক্ষা একটা বড় প্রশ্ন। তাই সুরক্ষাকর্মীরা সজাগ ছিলেন। রাহুল গান্ধীর ধারে কাছেও কাউকে ঘেঁষতে দেননি তাঁরা। কালেক্টর অফিসে পৌঁছোনোর পর সেখানে মনোনয়ন দাখিল করতে যান রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও হাতে গোনা কয়েকজন। নিরাপত্তার কারণে বেশি মানুষকে সেখানেও ঢোকার অনুমতি দেননি সুরক্ষাকর্মীরা।
মনোনয়ন দাখিলের পর ওয়ানাডে মাথা খোলা জিপে রোড শো করেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সেখানেও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নজর কেড়েছে। রাহুল গান্ধী কিছু মানুষের সঙ্গে হাতও মেলান। যদিও তা বেশিক্ষণ চলতে দেননি সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। রাহুল গান্ধী ২০০৪ সাল থেকে আমেঠিতেই দাঁড়ান। সেখান থেকেই জিতে আসছেন তিনি। এবারও আমেঠি থেকে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তারসঙ্গে ওয়ানাডেও কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন রাহুল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)