কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই ২০১৯ লোকসভায় লড়াই করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ফলাফল বার হতে দেখা যায় কার্যত দেশ জুড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। ৫৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫২টি আসনে জিততে পেরেছে তারা। রাহুল গান্ধী নিজেই আমেঠি থেকে হেরে যান। কংগ্রেসের এই পরাজয়ের পর রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। জানিয়ে দেন তিনি আর দলের সভাপতি হতে ইচ্ছুক নন।
রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও দল তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়নি। দলের তরফে বারবার তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিনি যেন সভাপতি পদে থেকেই দল পরিচালনা করেন। এমনকি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারাও তাঁর সঙ্গে দেখা করে দলের সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন। সারা দেশের কংগ্রেস নেতারা যখন চাইছেন রাহুল গান্ধীই সভাপতি থাকুন তখনও তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে টলানো যায়নি।
এবার সংসদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী দলকে জানিয়ে দিলেন, তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি আর এখন দলের সভাপতি নন। তাই দল যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন নেতা খুঁজে নেয়। তাঁর পরামর্শ, কংগ্রেসের উচিত দ্রুত একটি বৈঠক ডাকা। যেখানে তারা দলের নেতা খুঁজে নিতে পারবে। রাহুল এদিন ফের বুঝিয়ে দেন তিনি আর কংগ্রেস সভাপতি হবেন না।
রাহুল গান্ধীকে যদি সত্যিই কিছুতেই রাজি না করানো যায় তাহলে কে হবেন পরবর্তী নেতা? তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে রীতিমত চাপে পড়েছে কংগ্রেস। ফলে দলের তরফে এখনও রাহুল গান্ধীকে রাজি করানোর সবরকম চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই লোকসভায় কংগ্রেস নেতা নির্বাচিত হয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। এখন কংগ্রেস দলের মুখ কে হবেন সেটাই দেখার। কংগ্রেসে অবশ্য নবীন ও প্রবীণ ২ প্রজন্মের নেতাই রয়েছেন। কিন্তু তিনি যেই হন কতটা সর্বজন গ্রাহ্য হবেন তা নিয়েই চিন্তিত কংগ্রেস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা