আমেঠি থেকেই ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই আমেঠি থেকেই ২০১৯-এ হারতে হয়েছে তাঁকে। তবু আমেঠির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে আরও একবার ঝালিয়ে নিতে ভোটের পর এই প্রথম আমেঠি সফরে এলেন রাহুল গান্ধী। ১ দিনের সফরে রাহুল জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আমেঠির সম্পর্ক কখনই রাজনৈতিক নয়, একান্তই ব্যক্তিগত। ভোটে হার, জিত আছে। কিন্তু আমেঠির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে না।
এখানে নির্মলা দেবী ইন্সটিটিউটে দলের কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে ১ হাজার ২০০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু এসে হাজির হন প্রায় ১৫ হাজার জন। সেখানেই দলীয় কর্মীদের রাহুল বলেন, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রয়োজন। এদিন মৃত কংগ্রেস কর্মী গঙ্গা প্রসাদ গুপ্তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীর আমেঠি সফরের মাঝেই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়ে আমেঠিতে। গত ২৫ এপ্রিল এখানে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে মৃত্যু হয় নান্নেলাল মিশ্র নামে এক ব্যক্তির। তাঁর পরিবারের দাবি, চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয় নান্নেলালের। বিজেপি এটিকে ইস্যু করে দাবি করে নান্নেলালের আয়ুষ্মান ভারত কার্ড ছিল। সেজন্যই রাহুল গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত ওই হাসপাতালে যেখানে রাহুল গান্ধী একজন ট্রাস্টি, সেখানে নান্নেলালের চিকিৎসা ঠিকমত হয়নি। কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া আয়ুষ্মান ভারত কার্ড হোল্ডার। এর বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে ‘ন্যায় চাই’ বলে পোস্টার পড়ে অনেক জায়গায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা