দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর-এর বদলি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের নির্দেশে গত বুধবার রাতেই বিচারপতি মুরলীধরকে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করা হয়। আর বুধবার সকালেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন তিনি দিল্লি হিংসার শুনানি করেন। সেখানে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য ৪ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কেন এফআইআর দায়ের করা হয়নি সেকথা সামনে এনে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনাও করেন তিনি। এই ঘটনার পরই তাঁর রাতে বদলির নির্দেশকে অন্য চোখেই দেখছেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও কংগ্রেস।
রাহুল গান্ধী এই পদক্ষেপের নিন্দা করে এর সঙ্গে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে এনেছেন। তিনি লিখেছেন, বিচারপতি লোয়াকে বদলি করা হয়নি। প্রসঙ্গত সোহরাবুদ্দিন মামলার বিচারের মধ্যেই ২০১৪ সালে মৃত্যু হয় বিচারপতি লোয়ার। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ট্যুইট করেন যে, এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিচারপতি মুরলীধরের বদলি কোনও আশ্চর্যজনক ঘটনা নয়। তবে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। ভারতীয়রা ন্যায়বিচারের ওপর আস্থা রাখতে পছন্দ করেন। সরকার সেই বিচারের পথ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
কংগ্রেসের তরফে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রণদীপ সূরজেওয়ালা বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। সব প্রশ্নেরই নিশানা ছিল কেন্দ্র। কেন্দ্র কী তবে সত্য সামনে আসতে পারে বলে ভয় পাচ্ছে? এমন প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস। এমনও প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে হাইকোর্ট বলা সত্ত্বেও কেন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এতটা সময় কেটে গেলেও কোনও এফআইআর দায়ের করা হল না? কংগ্রেস বিচারপতির বদলিকে সামনে রেখে বড়সড় তোপ দেগেছে বিজেপির দিকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা