রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে আটক করল পুলিশ, লাঠিচার্জ হয়েছে, অভিযোগ রাহুলের
রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে আটক করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ তাঁর ওপর লাঠিচার্জও হয়েছে। ফেলে দেওয়া হয়েছে ধাক্কা মেরে।
গ্রেটার নয়ডা : হাথরাস কাণ্ডের পারদ চড়ছে। ক্রমশ দানা বাঁধছে আন্দোলন। হাথরাসে নির্যাতিতার দেহ পোড়ানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধেও সুর চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নির্যাতিতার গ্রামের উদ্দেশে যাওয়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার গাড়ি আটকায় পুলিশ। ফলে যেখানে গাড়ি আটকানো হয় সেখানে নেমে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা।
রাহুল জানান, তাঁদের গাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। তাই নির্যাতিতার গ্রামে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা হেঁটেই যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
রাহুল অভিযোগের সুরেই বলেন, এ দেশে কী কেবল প্রধানমন্ত্রীর হাঁটার অধিকার আছে। সাধারণ মানুষের নেই। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশের পাল্টা দাবি, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গ্রামে ঢুকলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে মনে করছে তারা। তাছাড়া এলাকায় ১৪৪ ধারা লাগু আছে। ফলে ৫ জনের বেশি একসঙ্গে হওয়া যাবেনা।
রাহুল গান্ধীর দাবি, তিনি পুলিশকে জানান সেক্ষেত্রে তিনি একাই হেঁটে যাবেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তা যেতে দেওয়া হয়নি। পরে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে আটক করে পুলিশ।
যদিও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল সার্কিট গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাথরাস কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা যে পারদ চড়াবে তা অনুমেয় ছিল। এর মধ্যেই আবার আরও এক তরুণীর ওপর এমনই এক ভয়ংকর নির্যাতনের খবর সামনে এসেছে এদিন। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কাছে এখন পরিস্থিতি সামলানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে এদিনের ঘটনার পর কংগ্রেস যে থেমে থাকবে না তা অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পুলিশের আচরণের নিন্দা করে বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা