২০১৭-র শেষটায় গোটা পৃথিবীকে চমকে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা। পাপারাৎজিদের শ্যেন দৃষ্টি এড়িয়ে দেশের বাইরে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। বিয়ের আগে পর্যন্ত সেই বিষয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন পাত্র ও পাত্রী দুই পক্ষই। বিরুষ্কার দেখানো সেই পথ এবার অনুসরণ করলেন টলিপাড়ার আরেক চর্চিত কপোত-কপোতী। সমস্ত বাধাবিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে চার হাত এক হল রাজ ও শুভশ্রী জুটির। যাবতীয় জল্পনা শেষ। মঙ্গলবার রাজ-শুভশ্রীর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ গল্পের মধুর সমাপতন ঘটল সংগোপনে।
মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজের প্রেমের কাহিনি এখন অতীত। দেবের সাথে তিক্ত সম্পর্কের স্মৃতি ভুলে এগিয়ে যেতে চান শুভশ্রীও। সেই চলার পথে তিনি পাশে পান রাজকে। তবে মিমি ও রাজের ফের সম্পর্ক গড়ে ওঠার গুজবে মাঝে সিঁদুরে মেঘ জমতে দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবারের বাগদান প্রমাণ করে দিল রাজ-শুভর মাঝে নেই কোনও কালো মেঘের ছায়া। বাইপাসের ধারে আনন্দপুরে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর আবাসনে বসেছিল বাগদানের আসর। জীবনের অন্যতম সেরা মুহুর্তে নিজেকে রাজকন্যার মতই সাজিয়ে তুলেছিলেন রাজের ‘শুভ’।
সাদা ও সোনালি রঙের লেহেঙ্গায় চমৎকার দেখাচ্ছিল শুভশ্রীকে। সাদা ও ছাই রঙা স্যুটে শুভশ্রীকে যোগ্য সঙ্গত দেন হবু বর রাজ। গুটিকয়েক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সাক্ষী রেখে আংটি বদল করেন রাজ-শুভশ্রী। তারপর হয় রেজিস্ট্রি। রেজিস্ট্রির পরেই ক্যামেরার সামনে রোম্যান্টিক ভঙ্গিমায় পোজও দেন তাঁরা। পরে ঘরোয়া পার্টিতে আত্মীয়দের সঙ্গে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন নবদম্পতি। আগামী ১১ মে সামাজিক মতে সাত পাকে বাঁধা পড়ে রাজের ঘরণী হয়ে উঠবেন শুভশ্রী। ১৮ মে বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হবে জমকালো প্রীতিভোজ। দুই অনুষ্ঠানেই টলিপাড়ার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন নবদম্পতিকে আশীর্বাদ দিতে।