এবার গ্রামেও অলিম্পিকের আসর, ধাপে ধাপে পৌঁছতে হবে সেরার লড়াইয়ে
হালফিল শেষ হওয়া কমনওয়েলথ গেমসই কি তবে আইডিয়াটা দিল? অনেকেই এমনটা মনে করছেন। দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্যে হচ্ছে গ্রামীণ অলিম্পিক।
গ্রামে গ্রামে এখন কোমর বাঁধছেন খেলোয়াড়েরা। এমনকি যাঁরা অল্প হলেও খেলেন তাঁরাও নেমে পড়েছেন আসরে। রাজ্যের প্রায় ৩০ লক্ষ খেলোয়াড় দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন। অনুশীলন করছেন। যাতে তাঁরা অলিম্পিকে ভাল ফল করতে পারেন।
অলিম্পিকসের আসর যাঁদের কাছে এখনও স্বপ্নের মত, তাঁরা এই অলিম্পিক দিয়ে হাতেখড়িটা সেরে ফেলতে চাইছেন। খেলা হবে ধাপে ধাপে। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে বিভিন্ন খেলায় খেলোয়াড়েরা গ্রামের মধ্যে লড়বেন। সেরা খেলোয়াড়েরা যাবেন ব্লক স্তরে। সেখানে এমন বিভিন্ন গ্রামের সেরারা আসবেন। তাঁদের মধ্যে খেলা হবে। সেখানে আবার যাঁরা সেরা হবেন তাঁরা যাবেন জেলা স্তরের লড়াইয়ে।
এভাবেই হবে গ্রামীণ অলিম্পিক। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে খেলা হবে ২৯ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে হবে ব্লক স্তরের লড়াই। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে হবে জেলা স্তরের লড়াই।
রাজস্থানই হল দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে এমন গ্রামীণ অলিম্পিকের আসর বসছে। রাজস্থান সরকারই এই আয়োজন করেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত জানান এই অলিম্পিকের নাম দেওয়া হয়েছে রাজীব গান্ধী রুরাল অলিম্পিক গেমস। গ্রামে গ্রামে লুকিয়ে থাকা ক্রীড়া প্রতিভাদের খুঁজে বার করা এবং তাঁদের সম্মানিত করাই এই আসরের লক্ষ্য।
রাজস্থানে খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধিও এই কর্মকাণ্ডের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২ লক্ষ দল তৈরি হয়েছে এই আসরের জন্য বলেও জানান তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা