SciTech

দেশেই পাওয়া গেল ১৪ ফুট লম্বা মানুষের পায়ের ছাপ

আদি মানব কথাটা বেশ চমকপ্রদ। আর তারা যে এই দেশে বা বলা ভাল প্রায় বাংলার মাটিতেই ঘুরত তা আরও অবাক করে। এক পুরাতত্ত্ববিদ কিন্তু এমনই দাবি করেছেন।

বাংলার গা ঘেঁষে এক পাহাড়ি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াত আদি মানব। যা ভাবলেও অবাক লাগতে পারে। কিন্তু পুরাতত্ত্ববিদ অনুপ কুমার বাজপেয়ী দাবি করেছেন, আদি মানব ঝাড়খণ্ডের রাজমহলের পাহাড় সারিতে বাস করত।

Rajmahal Hills
ঝাড়খণ্ডের রাজমহল পাহাড়, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

৩০ কোটি বছর আগে সেখানে আদি মানবের বাস ছিল। যাদের উচ্চতা হত ১০ থেকে ১৪ ফুট। ফলে এটাও পরিস্কার যে তাদের পায়ের পাতা কতটা বড় হত!


তেমনই পায়ের পাতার চিহ্ন একটি পাহাড়ে পাওয়া গিয়েছে। এখানে ঝনকপুর পঞ্চায়েতের বহমসিয়া এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ঘাঘাজোর নদী। এই নদীর আশপাশের এলাকায় এই আদি মানবের পদচিহ্নের সন্ধান পেয়েছেন পুরাতত্ত্ববিদ অনুপ কুমার বাজপেয়ী।

পুরাতত্ত্ববিদ তাঁর এই আবিষ্কার নিয়ে একটি বইও প্রকাশ করেছেন। এখানে একাধিক জায়গায় এই পদচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।


অনুপ কুমার বাজপেয়ীর মতে, এখানে এক সময় আদি মানবের বাস ছিল। তবে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সব ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু পায়ের ছাপগুলি জীবাশ্ম হয়ে থেকে যায়।

এখন বিষয়টি জানার পর বহু পর্যটকও এই জীবাশ্ম দেখতে ছুটে আসছেন। এখানে আদি মানবের পায়ের ছাপ ছাড়াও মাছ বা হরিণের খুরের জীবাশ্ম পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন পুরাতত্ত্ববিদ অনুপ কুমার বাজপেয়ী।

প্রসঙ্গত ২৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ঝাড়খণ্ডের রাজমহল পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক আগেই জুরাসিক যুগের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে বীরবল সাহানি নামে এক অধ্যাপক তার খোঁজ পান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button