ভারতের অস্ত্রভান্ডারে বিজয়াদশমীর দিন যুক্ত হল এক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। যার নাম এতদিন নানাভাবে সামনে এসেছে ঠিকই, তবে হাতে আসেনি। সেই ফ্রান্সের দাসোঁ সংস্থার তৈরি যুদ্ধবিমান রাফাল এবার হাতে পেল ভারত। ৩৬টির বরাত দিয়েছে ভারত। সেই ৩৬টির মধ্যে প্রথম বিমানটি বিজয়াদশমীর দিন আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে তুলে দিল সংস্থা। মঙ্গলবার বিজয়ার দিন ফ্রান্সের মেরিগনাক-এ রাফাল আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে পায় ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
হতে পারে ফ্রান্স। তবে ভারতীয় রীতি মেনেই এদিন রাজনাথ সিং নিজে হাতে প্রথম রাফালটির গায়ে সিঁদুর দিয়ে ॐ লেখেন। নারকেল ও ফুল দিয়ে পুজো করেন। চাকায় রাখা হয় লেবু। ফ্রান্সেই এই পুজোর্চনা সম্পূর্ণ হয়। ভারতীয় পরম্পরা মেনেই ‘শস্ত্র পূজা’ করে যুদ্ধবিমানকে ঘরে তোলা হয়। ভারতের নতুন অস্ত্র অস্ত্রভান্ডারে নেওয়ার আগে তার পুজো হত। অস্ত্রভান্ডারেও অস্ত্র পুজোর রীতি ছিল।
রাফাল হাতে আসার পর এদিন তাতে সওয়ারও হন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। খুব সহজ কাজ ছিলনা। এমন অত্যাধুনিক প্রবল গতির যুদ্ধবিমানে সওয়ার হওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি জরুরি। নিশ্চয়ই তা রাজনাথ সিংয়ের ছিল। তা পরীক্ষার পরই তাঁকে তোলা হয় বিমানে। বিশেষ ধরনের জি-স্যুট পোশাকে বিমানে ওঠার পর তাঁকে চারিদিক থেকে সবধরনের সুরক্ষা বন্দোবস্তে মুড়ে ফেলা হয়।
পাইলটের আসনে ছিলেন দাসোঁ সংস্থার প্রধান পরীক্ষণ পাইলট। ২ আসন বিশিষ্ট এই রাফাল বিমানের পিছনের আসনে বসেন রাজনাথ সিং। বিমানটি আকাশে ওড়ার জন্য চলতে শুরু করার পর রাজনাথ সিং বুড়ো আঙুল তুলে ও হাত নেড়ে সকলকে অভিবাদন জানান।
৩০ মিনিটের সফর ছিল রাজনাথ সিংয়ের। রাফালে চড়ে আকাশের বুকে আধ ঘণ্টা ঘোরেন তিনি। তারপর ফের নেমে আসেন। নামার পর রাজনাথ সিংয়ের মুখে ছিল সাফল্যের হাসি। ভারতীয় বায়ুসেনা আধিকারিকদের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। কথা বলেন দাসোঁ সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে। ২০২০ সালের মধ্যে ৪টি রাফাল ভারতের ঘরে ঢুকেই পড়বে। ৩ দিনের সফরে ফ্রান্সে গেছেন রাজনাথ সিং। সেখানে প্রথম রাফালটি নিজে হাতে গ্রহণ করলেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা