এবার একই দিনে স্বাধীনতা দিবস। আবার রাখি। ফলে সকাল থেকে যেমন উৎসাহের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। তেমনই আবার উৎসাহের সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাখিবন্ধন। ভাই ও বোনের মধ্যে যে হৃদয়ের বন্ধন তা এদিন আরও একবার উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করার দিন। ফলে সকাল থেকেই বোনেরা ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়েছেন। চলেছে উপহার বিনিময়। অনেক পরিবারে দিনটাকে সামনে রেখে পালিত হয় পারিবারিক মিলন উৎসব। সকলে একসঙ্গে হয়ে জমিয়ে চলে আনন্দ, খাওয়া দাওয়া। এদিন অনেক রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পক্ষেও রাখিবন্ধন উৎসব পালিত হয়। রাখি পরিয়ে দেওয়া হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাও।
বন্ধনের উৎসব রাখি। তার জন্য চলে বোনদের কেনাকাটা। রাখি, গিফট, মিষ্টি সবই আগেভাগে কিনে ফেলেন সকলে। এবার রাখি স্বাধীনতা দিবসের দিন। ফলে ছুটি। তাই উৎসব পালনটাও হচ্ছে জমিয়েই। ছুটির দিনটা চুটিয়ে উপভোগ করছেন সকলে পরিবার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে। ভাইয়ের হাতে রাখি পড়ানো। এটাই রীতি। এটাই পরম্পরা। তাই এই ডিজিটাল যুগেও রাখিবন্ধন উৎসব কিন্তু নিজের জায়গায় অমলিন।
আজকাল অনেকে বাইরে কর্মরত। ফলে ভাই বোনের দেখা হয়তো বছরে একবারও হয়না। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিই ভরসা। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দূর দেশে থাকা ভাইয়ের কাছে রঙিন খামে পৌঁছে যাচ্ছে রাখি। আবার ইদানিংকালে ই-রাখিরও চল হয়েছে। তবে রাখি যে কেবল ভাই-বোনের গণ্ডিতেই বাঁধা পড়ে আছে তা নয়। এখন এর অর্থ অনেক ব্যাপক। বৃহত্তর ক্ষেত্রেও পালিত হয় রাখিবন্ধন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পালন করে রাখি।
রাখিকে কেন্দ্র কদিন আগে থেকেই সেজে উঠেছিল বাজার। যে মরশুমি বাজারের এদিনই শেষ কেনাকাটা। কোথাও কোথাও বসেছে অস্থায়ী দোকান। রাখির দাম শুরু হচ্ছে ৫ টাকা থেকে। এরপর বিভিন্ন ডিজাইনের রাখির দাম বিভিন্ন। পুঁতির রাখি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। কলেজ ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আছে রাখির বিশেষ প্যাকেজ। সেখানে ১২টির দাম ২৪ টাকা। আবার এখন তো রাখি ব্যান্ডের মতও অনেকে পড়ছেন। এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে অনেক দিন পড়ে থাকতে পারেন। খারাপ লাগবে না।
রাখি আর এখন অতিকায় সাইজের কমই হয়। পুরনো স্পঞ্জের রাখিও বড় একটা পাওয়া যায়না। তবে ফুলের রাখির চল এখনও আছে। আর আছে সরু কিন্তু সুন্দর দর্শন রাখির ঢল। কম দামের পাশাপাশি দামি রাখিরও চল খুব বেড়েছে। বিক্রিও হচ্ছে। ১০০, ২০০ থেকে ৫০০ বা তার বেশি দামের রাখিও পাওয়া যাচ্ছে রাখির পসরায়। সোনার দোকানও এখন হাল্কা সোনা দিয়ে রাখি বানাচ্ছে। যার চল নতুন হলেও ইতিমধ্যেই বাজারে প্রভাব ফেলেছে।