রাখিবন্ধন উৎসবের দিন রাস্তায় নেমে পথচলতি মানুষকে রাখি পরানো। তাঁদের মিষ্টিমুখ করানো। গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের তরফে এটা চলে আসছে। এই উদ্যোগে সামিল হন তৃণমূল নেতারাও। জনসংযোগও হল, রাখি পরানোও হল। তাই সকাল থেকেই তৃণমূলের উদ্যোগে বিভিন্ন কোণায় পালিত হয়েছে রাখি বন্ধন উৎসব।
এদিন আলিপুরের গোপালনগরের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকান মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাখি গ্রহণ করেন। ধর্মতলায় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছিলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম তারকা বঙ্গতনয়া ঝুলন গোস্বামী। রাজারহাটের কাছে মহিলা পুলিশকর্মীরা এদিন রাখি পরিয়ে দেন পথচলতি মানুষকে। রাখিবন্ধন উৎসবে সামিল হন সুজিত বসু, সাধন পাণ্ডে, স্বপন সমাদ্দারও।
রাখিতে তৃণমূলকে টক্কর দিতে এদিন বিজেপিও পথে নামে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এদিন রাখি পরান বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। দিলীপবাবুও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পাল্টা রাখি পরিয়ে দেন। এদিন বিধানসভাতেও রাখি নিয়ে হাজির হন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল, বাম বিধায়ক নির্বিশেষে সকলের হাতে রাখি বেঁধে দেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির মহিলা শাখার সদস্যদের নিয়ে এদিন লালবাজারে পুলিশকে রাখি পরাতে হাজির হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু লালবাজারের কর্মরত পুলিশদের শত অনুরোধ করেও তাঁদের হাতে রাখি পরাতে পারেননি লকেটরা। পরে একটা খামে বেশ কিছু রাখি পুরে কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের কাছে পাঠিয়ে দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।