বন্ধনের উৎসব রাখি। তার জন্য চলছে বোনদের কেনাকাটা। রাখি, গিফট, মিষ্টি সবই আগেভাগে কিনে ফেলছেন সকলে। রবিবারের জন্য ফেলে রাখার ব্যাপার নেই। এবার রাখি রবিবার। ফলে উৎসব পালনটাও জমিয়েই হতে পারে। ছুটির দিনটা চুটিয়ে উপভোগ করা যাবে পরিবার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে। ভাইয়ের হাতে রাখি পড়ানো। এটাই রীতি। এটাই পরম্পরা। তাই এই ডিজিটাল যুগেও রাখি বন্ধন উৎসব কিন্তু নিজের জায়গায় অমলিন।
আজকাল অনেকে বাইরে কর্মরত। ফলে ভাই বোনের দেখা হয়তো বছরে একবারও হয়না। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিই ভরসা। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দূর দেশে থাকা ভাইয়ের কাছে রঙিন খামে পৌঁছে যাচ্ছে রাখি। আবার ইদানিংকালে ই-রাখিরও চল হয়েছে। তবে রাখি যে কেবল ভাই-বোনের গণ্ডিতেই বাঁধা পড়ে আছে তা নয়। এখন এর অর্থ অনেক ব্যাপক। বৃহত্তর ক্ষেত্রেও পালিত হয় রাখি বন্ধন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পালন করে রাখি। রাখির দিন সকালে বেরিয়ে আজকাল অনেকেই হাতে রাখি পরে মিষ্টি মুখ করে বাড়ি ফেরেন। আবার কেবল মেয়েরাই যে রাখি পড়ায় সে যুগও গেছে। আজকাল মেয়েরা রাখি পড়েও। স্কুল, কলেজ সর্বত্র মেয়েদের হাতে রাখি দেখা যায়। এমনকি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ছাত্রছাত্রীরা রাখি পড়িয়ে উৎসব পালন করে। সব মিলিয়ে রাখির পরিধি এখন বিশাল।
রাখিকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে বাজার। কোথাও কোথাও বসেছে অস্থায়ী দোকান। রাখির দাম শুরু হচ্ছে ৫ টাকা থেকে। এরপর বিভিন্ন ডিজাইনের রাখির দাম বিভিন্ন। পুঁথির রাখি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কলেজ ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আছে রাখির বিশেষ প্যাকেজ। সেখানে ১২টির দাম ২৪ টাকা। আবার এখন তো রাখি ব্যান্ডের মতও অনেকে পড়ছেন। এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে অনেক দিন পড়ে থাকতে পারেন। খারাপ লাগবে না। রাখি আর এখন অতিকায় সাইজের কমই হয়। পুরনো স্পঞ্জের রাখিও বড় একটা পাওয়া যায়না। তবে ফুলের রাখির চল এখনও আছে। আর আছে সরু কিন্তু সুন্দর দর্শন রাখির ঢল। কম দামের পাশাপাশি দামি রাখিও রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে। ১০০, ২০০ থেকে ৫০০ টাকার রাখিও পাওয়া যাচ্ছে রাখির পসরায়। — প্রতিবেদক – প্রিয়া মুখোপাধ্যায়