১৮৩৫ সালের প্রাসাদই দেশের ১ নম্বর হোটেল
দেশের ১ নম্বর হোটেল কোনটা? এ প্রশ্ন উঠলে এবার উঠে আসছে মরুরাজ্যের এক বিলাসবহুল প্রাসাদের নাম। বিশ্বে যার স্থান ১৫ নম্বরে।
দেশে হোটেল চেনের অভাব নেই। তাজ গ্রুপের চোখ কপালে তোলা হোটেলগুলো তো রয়েছেই। এবার সেই গ্রুপেরই একটি হোটেল দেশের সেরা হোটেলের শিরোপা আদায় করে নিল। তবে তা হোটেল হলেও একটি প্রাসাদ। যা তৈরি হয়েছিল ১৮৩৫ সালে।
রাজপুত রাজাদের প্রাসাদ। নিখুঁত কারুকার্য আর বিশালত্বে চোখ ধাঁধানো এই প্রাসাদ জয়পুরে বিখ্যাত জুয়েল অফ জয়পুর নামে। অর্থাৎ জয়পুরের রত্ন। তা রত্নই বটে। বলে দিলে হোটেল। না বলে দিলে নিশ্চিন্তে রাজপুতদের প্রাসাদ বলে একটি পর্যটন ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারত এটি।
১৯২৫ সাল থেকে জয়পুরের মহারাজার ঠিকানা ছিল এই প্রাসাদ। যা রামবাগ প্যালেস নামে খ্যাত। সেই রামবাগ প্যালেস এখন হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে।
এরফলে হোটেলের সুযোগ সুবিধা ও রাজরাজড়াদের প্রাসাদের জৌলুস মিলে এক অসামান্য রূপ নিয়েছে এই রামবাগ প্যালেস। যা একটি পাঁচতারা হোটেলও বটে।
ভারতের সেরা হোটেল নির্বাচিত হয়েছে এই রামবাগ প্যালেস। ভারতের কোন হোটেল সবচেয়ে পছন্দের। এই মর্মে একটি ভোট হয় হোটেলে থাকতে আসা মানুষজনদের নিয়ে। তাঁরা ভোট দেন। যে ভোটে রামবাগ প্যালেস সকলকে পিছনে ফেলেছে।
ফলে রামবাগ প্যালেস এখন দেশের সেরা হোটেল। এখানেই রামবাগ প্যালেসের শিরোপা শেষ হয়নি, বিশ্বের তাবড় হোটেলের মধ্যেও এটি জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের ১৫ তম সেরা হোটেল নির্বাচিত হয়েছে ভারতের জয়পুরের রামবাগ প্যালেস।
ভারতে একটা সময় রাজাদের রাজত্ব ছিল সর্বত্র। তাঁরা নিজেদের জন্য প্রাসাদ বানাতেন। অথবা দুর্গে থাকতেন। সেইসব প্রাসাদ বা দুর্গের অনেকগুলিই এখন হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে।
এতে সেই প্রাসাদ বা দুর্গের যথাযথ দেখভালও হয়, রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে। কোথাও সামান্য কিছু ক্ষতি হলে তখনি তা সারানো হচ্ছে। তাও পুরনো ঐতিহ্য ও স্থাপত্য বজায় রেখে। আবার ওই বিশালত্ব নিয়ে তা নিছক পড়ে থাকার চেয়ে ব্যবহারেও লাগছে।
জয়পুরের রামবাগ প্যালেস তেমনই একটি। যা সকালের আলোয় যেমন রাজকীয় তেমনই সন্ধের আলোয় রূপকথার মত মোহময়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা