বিয়ের পর আলিয়ার বন্ধুদের আবদার মেটাতে মোটা টাকা খসল রণবীরের
ভারতের যে কোনও প্রান্তেই অধিকাংশ বিয়েতে একটা অলিখিত রীতি চালু রয়েছে। বাংলায় যাকে শয্যা তুলুনি বলেন সকলে। সেই আবদার মেটাতে মোটা টাকা খসল রণবীর কাপুরের।
৫ বছর ধরে প্রেম। এর মাঝে প্রকাশ্যেই আলিয়া ভাট জানিয়েছিলেন তিনি রণবীরকেই বিয়ে করতে চান। তাঁকেই স্বামী রূপে পেতে চান। অবশেষে আলিয়ার সেই সাধ পূরণ হয়েছে। রণবীরকেই স্বামী হিসাবে পেয়েছেন তিনি।
সবে এই ২ বলিউড তারকা সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন। হতে পারে এ বিয়ে যেমন ছিল অন্যতম চর্চার বিষয়, তেমনই ছিল হাই প্রোফাইল। তবে বিয়ের নিয়ম তো তার জন্য বদলায় না। বদলায় না প্রচলিত রীতি।
যেমন ভারতের অনেক জায়গায় বিয়ের সময় বরের জুতো লুকিয়ে দিয়ে দেন কনের ভাই, বোন, বন্ধুরা। তারপর সেই জুতো ফেরত পেতে দিতে হয় মোটা টাকা।
বাংলায় বিয়েতে বরের কাছ থেকে শয্যা তুলুনির টাকা আদায় করে ছাড়েন কনের ভাই, বোন, বন্ধুরা। এটা বিয়ের একটা আনন্দ। আলিয়া রণবীরের বিয়েতেও ঠিক সেটাই হয়েছে। আলিয়ার বন্ধুরা কিন্তু সহজে রণবীরকে ছাড় দেননি।
রণবীরকে তাঁদের একটি অঙ্গীকারপত্র দিতে হয়েছে। যাতে তিনি লিখেছেন যে আলিয়ার বন্ধুদের তিনি ১২ লক্ষ টাকা দেবেন। সেই অঙ্গীকারপত্র হাতে তাঁকে ছবিও তুলতে হয়েছে। যেখানে তাঁকে ঘিরে ছিলেন আলিয়ার বন্ধুরা।
এই অঙ্গীকারপত্র আলিয়ার বন্ধুদের হাতে দিয়ে তবে রেহাই মিলেছে রণবীরের। কম কথা নয়! ১২ লক্ষ টাকা খসল রণবীরের। প্রসঙ্গত গত ১৪ এপ্রিল আলিয়া ও রণবীর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা