আগামী শনিবার মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর বিবাহ পরবর্তী জীবনের দ্বিতীয় প্রোজেক্ট ‘হিচকি’। যশ চোপড়া ফিল্মস-এর ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। ঠিক তার ২ দিন আগে অর্থাৎ বুধবার তাঁর জন্মদিন। ছবি নিয়ে চাপা উদ্বেগ তো আছেই। সেইসঙ্গে মনের মধ্যে কোথাও যেন জমেছে আষাঢ়ের বিন্দু বিন্দু ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ আর ভালোলাগার স্মৃতিমাখা অনুভূতিগুলোকে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে ‘শেয়ার’ করেছেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। বলিউডের ‘স্টিরিও টাইপ’ মানসিকতা নিয়ে চিঠিতে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বিয়ের পর তেমনভাবে বলিউড ডাকেনি তাঁকে। রানি খোলাখুলি জানিয়েছেন তার কারণটাও। কি সেই কারণ? তাঁর মতে, বিয়ের পরেই একজন অভিনেত্রীর কেরিয়ার শেষ হয়ে যায় বলে মনে করে বলিউডের একাংশ। বক্স অফিসে তেমন সাফল্য এনে দিতে পারেন না বিবাহিতা অভিনেত্রীরা। মহিলাকেন্দ্রিক ছবি বানানোটাও যথেষ্ট ঝুঁকির। ফিল্ম জগতের সেই চিরাচরিত ধারণার ফলেই কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয় রানির মত অসংখ্য প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের। সেই লড়াই তিনিও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে চিঠিতে খোলাখুলি জানিয়েছেন রানি।
২২ বছর বলিউডে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন গুণগ্রাহী ভক্তদের ঢালাও প্রশংসা। যা মসৃণ করেছে তাঁর চলার পথ। তাই ৪০টা বসন্ত পেরিয়ে রুপোলী পর্দায় ‘মর্দানি’ দেখানোর শক্তি পেয়েছেন অনায়াসে। আর এই সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য ছবির নির্মাতাদেরও। যাঁরা তাঁর ওপর ভরসা না করলে হয়তো আজ তিনি ‘রানি’ হয়ে উঠতে পারতেন না। জন্মদিনে খোলা চিঠিতে অকুণ্ঠ চিত্তে সে কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। ১৯৯৬-এ ‘বিয়ের ফুল’ ফুটিয়ে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। ১৯৯৮ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘গুলাম’-এ চুটিয়ে অভিনয় করেন। তারপরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রানিকে। মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিনয় দিয়ে বলিউড সাম্রাজ্যে পাকাপাকিভাবে ‘রানি’ হয়ে ওঠেন বঙ্গললনা। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুম’, ‘ব্ল্যাক’, ‘বান্টি অউর বাবলি’-সহ একাধিক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে আসে। মাঝখানে বেশ কিছু বছর গ্ল্যামার জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ২০১৪-য় প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গোপনে গাঁটছড়া বাঁধেন। বিয়ের ১ বছর পর কোল আলো করে আসে মেয়ে আদিরা। ছোট পরিবার নিয়েই এখন সুখে দিন কাটছে রানি মুখোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি অভিনয়টাও চালিয়ে যাচ্ছেন।