রাণাঘাট স্টেশনের লতা নামে তাঁর পরিচিতি। ইন্টারনেটে তিনি রীতিমত জনপ্রিয়। তাঁর খোলা গলায় গান ইন্টারনেটে ভাইরাল। আসল নাম রানু মণ্ডল। রাণাঘাট স্টেশনে তাঁকে গান গাইতে দেখেছেন অনেকেই। সেই রানুর একটি ভিডিও তুলে এক যুবক তা ইন্টারনেটে পাবলিশ করে দেন। যা দ্রুত সকলের মন কেড়ে নেয়। এত সুরেলা কণ্ঠ! ইন্টারনেটে রানুকে সকলে রাণাঘাটের কোকিলকণ্ঠী বলে চেনেন। তাঁর প্রতিভার কথা ইন্টারনেটের হাত ধরে পৌঁছে গেছে সুদূর বলিউডেও।
হালে রানু পৌঁছেছিলেন একটি ট্যালেন্ট হান্ট শোতে। সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্টেশনে বসে গান গাওয়া রানুকে সেখানে সরাসরি তাঁর সিনেমায় গান গাওয়ার অফার দেন হিমেশ রেশমিয়া। বিখ্যাত গায়ক-সুরকার-অভিনেতা হিমেশের এই অফার কার্যত রাণাঘাটের রানুর কাছে ছিল লটারি পাওয়ার মত। হিমেশ জানান, তাঁর সিনেমা ‘হ্যাপি হারদি এন্ড হির’ সিনেমার একটি গান তিনি রানুকে দিয়ে গাওয়াবেন।
হিমেশের মত সুরকার এত নামীদামী গায়িকা ছেড়ে স্টেশনে বসে গান গাওয়া প্রৌঢ়া রানুকে কেন সুযোগ দিলেন? হিমেশ জানান, এক সময়ে সলমন খানের বাবা সেলিম খান তাঁকে বলেন, যেখানেই জীবন আছে, সেখানেই প্রতিভা আছে। সেই প্রতিভাকে অবহেলা না করে তার পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। হিমেশ সেকথা ভোলেননি। তাঁর মতে, রানু মণ্ডলের গলা ভগবান প্রদত্ত। তাই তাঁকে এই সুযোগটা দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিভার পাশে দাঁড়ানোর কাজটি করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা